নয়াদিল্লি: তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বছর ৪২ এর ফারুক বাশা৷ সেখান থেকেই করোনা আক্রান্ত হন তিনি৷ তবে তিনি এখন সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত৷ বাশা যখন শোনেন, তাঁর প্লাজমা করোনা আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে পারে, তখন আর দেরি করেননি৷ তৎক্ষনাৎ প্লাজমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি৷
নিজামুদ্দিনের মরকজে আটকে পড়া ২,৫০০ জনের মধ্যে ফারুক বাশা একজন৷ গত ৩০ মার্চ তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে৷ রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি এখন সুস্থ৷ ৮ এপ্রিল তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ করোনাকে হারিয়ে যাঁরা ফের জীবন যুদ্ধে সামিল তাঁদের কাছে প্লাজমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ এর পরই করোনামুক্ত তবলিঘি জামাত সদস্যদের কাছে একই অনুরোধ জানান সংস্থার প্রধান মৌলানা সাদ। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই রক্তের প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসেন তবলিঘি জামাতের ৩০০ জন করোনা মুক্ত সদস্য।
রবিবার কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ” যাঁরা করোনাকে হারিয়েছেন তাঁরা সকলে এগিয়ে আসুন৷ একজন মুমূর্ষকে বাঁচাতে প্লাজমা দান করুন। একজন হিন্দুকে গুরুতর অবস্থা থেকে বাঁচাতে পারে একজন মুসলিমের প্লাজমা আবার একজন মুসলিমকে বাঁচাতে পারে একজন হিন্দুর প্লাজমা।” এই পরেই তবলিঘি জামাতের যে সকল সদস্য করোনা থেকে রক্ষা পয়েছেন, তাঁরা প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসেন৷ রমজানের প্রথম দিনেই প্রায় ৩০০ জন মুসলিম প্লাজামা দান করতে রাজি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯০ জন নারেলার, ৫১ জন সুলতানপুরের এবং ৪২ জন মাঙ্গোলির।
বাশা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘মৌলনা সাদ যখন বলেন, যাঁদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, তাঁরা প্লাজমা দান করুন, তখন মনে হয়েছিল নতুন জীবনের জন্য ভগবান এবং সকল চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানানোর এটাই সঠিক পথ৷’’ যদিও করোনা চিকিৎসায় প্লাজমাথেরাপির ব্যবহার এখনও পরীক্ষামূলক স্তরেই রয়েছে। এই পদ্ধতিতে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর দেহ থেকে প্লাজমা নিয়ে গুরুতর আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করা হয়৷ ড. সারিনের কথায়, এর জন্য ডোনারকে অবশ্যই সুস্থ হতে হবে৷ তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসের হার ৩০ এর বেশি হতে হবে৷ হিমোগ্লোবিন কমপক্ষে ১২ হতে হবে এবং কোনও হৃদরোগ থাকলে চলবে না৷