হার না মানা লড়াই, হুইল চেয়ারেই ছুটে চলেছেন সুইগির ডেলিভারি এজেন্ট, কুর্নিশ নেটিজেনদের

হার না মানা লড়াই, হুইল চেয়ারেই ছুটে চলেছেন সুইগির ডেলিভারি এজেন্ট, কুর্নিশ নেটিজেনদের

 নয়াদিল্লি:  তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম৷ আর পাঁচজনের মতো সুস্থ জীবন নয় তাঁর৷ তাতে কী? হার না মানা মনোভাব নিয়েই ছুটি চলেছেন খাবার ডেলিভারি সংস্থা সুইগি’র এই এজেন্ট৷ বিশেষ ভাবে সক্ষম ওই তরুণীর জীবন যুদ্ধের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ এভাবেও লড়াই করে বাঁচা যায়, সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দুনিয়াকে দেখিয়ে দিলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের টিনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিলনাড়ুর সুবিক্ষা, লড়াই শেষে শুরু নতুন পথ চলা

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণী হুইলচেয়ার স্কুটারে করে খাবার ডেলিভারি দিতে যাচ্ছেন। তাঁর ইউনিফর্ম ও ব্যাগের লোগো দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি সুইগিতে কর্মরত। খাবার ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময়, তাঁর পিছনে থাকা একটি গাড়ির যাত্রী ভিডিয়োটি করেন। ৬ সেকেন্ডের ছোট্ট ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল৷ ভিডিয়োটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সত্যই জীবনটা ভীষন কঠিন৷ কিন্তু আমরাও হারতে শিখিনি। আপনার এই উদ্যমকে কুর্নিশ।’ নেটপাড়ায় এই ভিডিয়োটি শেয়ার হতেই লাইক কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে৷ এই ছবি মন ছুঁয়ে গিয়েছে৷ 

জানা গিয়েছে ওই তরুণীর বাড়ি বিহারের সমস্তিপুর৷ ১৫ বছর আগে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর অর্ধেক শরীর প্যারালাইসড হয়ে যায়৷ পরিবারও তাঁকে বোঝা মনে করতে থাকে৷ এক সময় ডিপ্রেসনে চলে গিয়েছিলেন৷ চন্ডীগড় স্পাইনাল রিহ্যাব তাঁর সার্জারি করে এবং জীবনের নতুন দিশা এনে দেয়৷ এর পর তিনি অনেক ধরনের খেলার সঙ্গেও যুক্ত৷ টেবিল টেনিসে ন্যাশনাল প্লেয়ার৷ করেছেন ফ্যাশন শো৷ আপাতত সুইগিতে খাবার ডেলিভারি করে জীবন চলছে তাঁর৷ 

ওই তরুণীর এই লড়াই দেখে এক নেটনাগরিক লিখেছেন, ‘তাঁকে স্যালুট, যারা সব কাজকেই কঠিন বলে মনে করেন তাঁদের এই ভিডিয়োটি অবশ্যই দেখা উচিত।’ আবার কেউ কেউ লিখছেন, এই তরুণী আসলে একজন যোদ্ধা। কেউ বলছেন, ‘পরিস্থিতি বদলের জন্য অনেকেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। তিনি প্রকৃত যোদ্ধা।’