নয়াদিল্লি: হিন্দু ধর্মে গোরুর স্থান, পশু হিসেবে গরুর প্রয়োজনীয়তা প্রথম শ্রেণীর রচনা বই থেকেই আমরা জানতে শুরু করি৷ কিন্তু ইদানীং এদেশের মান্যগণ্য ব্যক্তিত্বরা হঠাৎ করেই গরু সম্পর্কে যেসব নানান অভিনব তত্ত্বের যোগান দিচ্ছেন যে পশুদের মধ্যে গরুর প্রভাব প্রতিপত্তি হঠাৎ করেই বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আর তারপর থেকেই এই পশুকে দেশের জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করার দাবি উঠছে লক্ষ্যনীয় ভাবে৷
ইতিমধ্যেই গরুকে ‘রাষ্ট্র মাতা’ হিসেবে ঘোষণার জন্য বিলও পাশ হয়ে গেছে উত্তরাখণ্ড বিধানসভায়৷ এবার গরুকে জাতীয় পশু করার দাবি জানিয়ে, পেজাভর মঠের স্বামীজি বিশ্বেসা তীর্থ বলেছেন, ‘‘আমরা যদি ভালোবাসা এবং নিরপরাধতার প্রতীক হিসেবে গরুকে গ্রহণ করতাম তবে এই দেশে আর কোনও সন্ত্রাসবাদী জন্মগ্রহণ করতে পারত না৷’’ তবে শুধু তাই নয়, এর ব্যাখ্যা দিতে আমাদের জাতীয় পশু বাঘকে রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন৷ বললেন, ‘‘দেশের সন্ত্রাস বৃদ্ধির জন্য দায়ী বাঘ৷ বাঘ এবং সন্ত্রাসবাদীদের মূল বৈশিষ্ট্য একই তাই বাঘকে জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দেওয়াটা আমাদের ভুল হয়েছে৷’’
বাবা রামদেব আয়োজিত সাধুদের এক সমাবর্তনে বক্তব্য রাখার সময় সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার এমনই নিদান দেন স্বামীজি৷ এদিনের সমাবর্তনে বাবা রামদেবও গোহত্যা নিষিদ্ধ ও গোমাংস খাওয়া বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন৷ তিনি আবার ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে’র জন্য আমিসাষীদের দায়ী করছেন৷ জাতিধর্ম নির্বিশেষে গরু নিয়ে ঐক্যমত গড়ে তোলার জন্য মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান যোগগুরু৷