নয়াদিল্লি: একেই বলা আশ্চর্য সমাপতন! নাকি নিছক কাকতালীয়! দু’জনেই প্রথম এনডিএ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী৷ দ্বিতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ক্ষমতা দখল করলেও দু’জনে জানিয়ে দিয়েছিলেন, শরীর দিচ্ছে না৷ আর তাই মন্ত্রিসভায় তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷ সরকারের পরামর্শ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা৷
শারীরিক অসুস্থতার কারণে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি ছিলেন না দু’জনে৷ পেশাগত দিক থেকেও তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক মিল৷ দু’জনেই আইনজীবী৷ দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের জীবনের শেষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে৷ ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে দু’জনেই বেশ দীর্ঘ পোস্ট করেন৷ দু’জনের সেই লেখা মিলিয়ে দিয়েছে দুজনকে৷ একজন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ আর একজন প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷
গত ৬ আগস্ট শেষ টুইট করার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সুষমা স্বরাজ৷ আর শনিবার ১৮ দিনের ব্যবধানে দীর্ঘ রোগভোগের পর বিদায় নিলেন কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ প্রায় একই বয়সে৷ রাজনীতিতে বহুশ্রুত সেই প্রবাদ যেন দু’জনে জীবনে প্রতিভাত৷ নেতা তৈরি করা যায় না৷ নেতা জন্মগ্রহণ করে৷
জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জেটলি-সুষমার কেউ কারও থেকে কম ছিলেন না৷ বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের টানাপোড়েনের নিষ্পত্তির দায়িত্ব অধিকাংশ সময় তাঁদের উপরে তুলে ধরা হত৷ হোম ম্যাচে দলের ট্রাভেলশুটার ছিলেন জেটলি৷ আর বিদেশের মাটিতে ভরসার ছিলেন সুষমা৷ যে দক্ষতা সঙ্গে তাঁরা এতদিন সরকারকে ঘরে-বাইরে রক্ষা করে এসেছেন, সেই অভাবটা পূর্ণ হবে তো? সেটাই এখন দেখার৷