নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় নেই সুষমা স্বরাজ, কেন জানেন?

আজ বিকেল : মোদি মন্ত্রীসভায় কাকে রাখবেন আর কাকে ছাঁটবেন তানিয়ে জনগণের আগ্রহের শেষ নেই। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল মোদির দ্বিতীয়বারের মন্ত্রীসভায় থাকবেন না সুষমা স্বরাজ। সেই গুজব সত্যিই হল অবশেষে। কেন্দ্রে মোদির প্রথম জমানায় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন সুষমা। যদিও দুনিয়া জানত, বিদেশ মন্ত্রক প্রকারান্তরে পরিচালিত হত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে। তবে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে প্রবাসী ভারতীয়দের নিশ্চিন্তের আশ্রয়

নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় নেই সুষমা স্বরাজ, কেন জানেন?

আজ বিকেল : মোদি মন্ত্রীসভায় কাকে রাখবেন আর কাকে ছাঁটবেন তানিয়ে জনগণের আগ্রহের শেষ নেই। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল মোদির দ্বিতীয়বারের মন্ত্রীসভায় থাকবেন না সুষমা স্বরাজ। সেই গুজব সত্যিই হল অবশেষে। কেন্দ্রে মোদির প্রথম জমানায় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন সুষমা। যদিও দুনিয়া জানত, বিদেশ মন্ত্রক প্রকারান্তরে পরিচালিত হত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে। তবে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে প্রবাসী ভারতীয়দের নিশ্চিন্তের আশ্রয় স্থল হয়ে উঠেছিলেন শ্রীমতী স্বরাজ। এই তথ্য সকলেরই জানা। ভোটের আগেই জানিয়েছিলেন যে এবার আর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেবেন না তিনি।

শোনা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রক তাঁর হাতে থাকলেও বকলমে ক্ষমতা ছিল মোদি-শাহের হাতে। তাঁদের তত্ত্বাবধানে চলত কাজকর্ম। বার বার তাঁকে সাইড করা হচ্ছিল। গত চারবছরে এই ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ। তাই লোকসভা ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত আগেভাগেই নিয়ে নেন। বিজেপি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলে মন্ত্রীসভায় থাকতে চাননি তিনি। যদিও দলের তরফে জানানো হয়েছিল, এবারও সুষমা স্বরাজকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে, তবে তিনি তা গ্রহণ করবেন কি না সে সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর। এরপরেই সঙ্ঘের এক সদস্য কৌতুক করে বলেছিলেন, স্বেচ্ছা মৃত্যুর বর দেওয়া হয়েছে সুষমাকে তিনি চাইলে তা গ্রহণ করতে পারেন। নাহলে মার্গ দর্শক মণ্ডলীর সদস্য হয়ে যেতে পারেন।

সেই ঘটনাকেই এদিন সিলমোহর দিলেন শ্রীমতী স্বরাজ। একাংশের দাবি, দীর্ঘ অসুস্থতাকে সামলে এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। এমনিতেই গতবছর দীর্ঘদিনের জন্য এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। সামনে যে আরও খারাপ দিন আসচে কিনা তাই বা কে জানে। সেকারণেই এবার আর মন্ত্রীসভায় থাকতে নারাজ তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *