নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিনেতার বাবা কেকে সিং৷ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা৷ কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর জন্য নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করলেন রিয়া৷ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়া বললেন, ‘‘প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছে সুশান্তের পরিবার৷’’
রিয়া জানান, সুশান্ত যে ডিপ্রেশনের মধ্যে ছিলেন, সে কথা তাঁর পরিবারকে তিনি জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু এর পরেও তাঁরা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল৷ মানুষ আমার ‘অওকাত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে৷ ‘‘আমার ওউকাত এটাই যে সুশান্ত সিং রাজপুত আমাকে ভালোবাসত৷ কিন্তু আমি কোনও দিনই সুশান্তকে ওঁর পরিবারের থেকে আলাদা করিনি৷ আমার উপর মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে৷’’ সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং৷ যার উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই৷
আরও পড়ুন- সমস্যা মিটিয়ে ফের ভারতে ব্যবসার পথ খুঁজছে টিকটক, আশ্বাস প্রতিষ্ঠাতার
রিয়ার বলেন, ‘‘আমি ওঁনার ছেলেকে ভালোবাসতাম, ওঁর দেখভাল করতাম৷ সামান্য হলেও, মানবিকতা থাকা উচিত৷ আমার জন্য না হোক, অন্তত ছেলের জন্য৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা অত্যন্ত কঠিন৷ আমার পুরো পরিবার তদন্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ আমার বাড়ির বাইরে উন্মত্ত জনতার ভীড়৷ আমার পরিবারের সঙ্গে এটা কী হচ্ছে? আপনারা তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন না কেন? গোটা সিস্টেমের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ সে জন্যই এখনও বেঁচে আছি৷ না হলে আমরা আত্মহত্যা করতাম৷’’
রিয়া আরও বলেন, আমার মনে হয় না আমি গ্রেফতার হব৷ কারণ গ্রেফতার হওয়ার মতো আমি কোনও অপরাধ করিনি৷ আমার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে৷ কারণ মানসিকভাবে উনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন৷ আমার বাবাকে প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে৷ অযৌক্তিক খবরের উপর ভিত্তে করে সারা দেশের মানুষ আমাদের উপর দোষারোপ করছে৷
আরও পড়ুন- করোনার গ্রাসে আন্দামানের আদিম উপজাতি, রিপোর্ট পজিটিভ চারজনের
এছাড়াও রিয়া জানান, কোনও দিনই কোনও মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি৷ এমনকী তিনি কোনও দিন ড্রাগ নেননি দাবি তাঁর৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খণ্ডাতে রক্ত পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুত অভিনেত্রী৷ রিয়া বলেন, সুশান্ত গাঁজা খেতেন৷ তাঁকে গাঁজার নেশা ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ এমনকী সুশান্তের কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি বলেই রিয়ার দাবি৷ পরিবারের থেকেও সরিয়ে রাখেননি সুশান্তকে৷ কারণ সুশান্ত চণ্ডীগড়ে তাঁর দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন৷ তাঁর দিদিরা বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আসতেন৷ রিয়া বলেন, ‘‘আমি যদি সুশান্তকে আলাদা করার চেষ্টাই করতাম তাহলে ওঁনারা সুশান্তকে আটকে রাখলেন না কেন?’’ রিয়া বলেন, ‘‘সুশান্তের পরিবারই প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছে৷ আমি চেয়েছিলাম সুন্দরভাবে ওঁর স্মৃতিকে আগলে রাখতে৷’’