নয়াদিল্লি: সাপের ছোবলের অ্যান্টিডোট সাপের বিষই। এদিনই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পুলওয়ামার হত্যালীলার পালটা প্রত্যাঘ্যাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই নয়া সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জইশ জঙ্গি ঘাঁটি। এরপর এক টুইটে বায়ুসেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধু। পুলওয়ামা কাণ্ডের পর দিনই তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে দেশ জুড়ে হইহই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে প্রত্যাঘাতের পর সেই তিনিই বায়ুসেনার নামে জয়ধ্বনি শুরু করেছেন।
এমনিতেই সিধু যেখানে বিতর্ক সেখানে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পরেপরেই গোটা দেশ যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন সিধু মুখ খুলে নয়া বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখনও শহিদ সেনাদের গান স্যালুট দেওয়া হয়নি, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর দিন জঙ্গি হামলার নিন্দার পরই সিধু বলেছিলেন, “কিছু মানুষের জন্য কি একটি গোটা দেশকে দায়ী করা ঠিক হবে?” নাম না করলেও তিনি যে তাঁর ‘বন্ধু’ ইমরান খানের কথাই বলতে চেয়েছিলেন তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি কারও। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলডও হওয়ায় কপিল শর্মার রিয়্যালিটি শোয়ের প্যানেল থেকে বাতিলও করে দেওয়া হয় সিধুকে।
তবে সিধু যাই বলুন না কেন রাহুল গান্ধী এই জঙ্গিহানার পর দেশের সরকারের পাশেই থেকেছেন। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় যখন ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এল তখন সেই সিধুও খুশি. টুইটবার্তায় বায়ুসেনাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি “লোহা দিয়ে লোহা কাটা হয়। আগুনের যম আগুন। সাপের ছোবলের অ্যান্টিডোজ সাপের বিষই। সন্ত্রাসবাদীদের বিনাশ অনিবার্য। ভারতীয় বায়ু সেনার জয় হোক। জয় হিন্দ।”