নয়াদিল্লি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট এবং মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না রাজ্যে এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যত ‘খুনী’ বলেছিল মাদ্রাস হাইকোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই প্রেক্ষিতে আদালত জানাল, মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না এটা বলা যায় না।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেছিল সেই প্রেক্ষিতে সব সংবাদমাধ্যম সেই খবর প্রকাশ করে। এটা নিয়েই ঘোরতর আপত্তি ছিল নির্বাচন কমিশনের। তাই দাবি করা হয়েছিল যে আদালতের কোন মৌখিক পর্যবেক্ষণ যেন সংবাদমাধ্যমে চালানো না হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট করা যাবে না এটা কখনও বলা যায় না। আদালতের ভেতরে বিচারপতি কি বলছেন সেটা সংবাদ মাধ্যম বলতে পারবে না সেটা যেমন বলা যায় না। কারণ জনস্বার্থে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সেটা সংবাদমাধ্যম তুলে ধরবে এটাই তাদের দায়িত্ব এবং এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই ওই ভাবে আদালত বলতে পারেনা যে মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে সংবাদমাধ্যম কোনো খবর করতে পারবে না। একই সঙ্গে জানান হয়েছে, হাইকোর্টের ক্ষমতা খর্ব করতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতিরা যা বলছেন সেটা আশেপাশে যা ঘটছে তার প্রেক্ষিতে বলছেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের উচিত সে তার প্রকৃত অর্থ ভালো করে বোঝা।
আসলে, যেভাবে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এক একটি রাজ্যের অবস্থা খারাপ হচ্ছে সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ একমাত্র নির্বাচন কমিশন। এর জন্য কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত!