BIG BREAKING: কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের!

BIG BREAKING: কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের!

নয়াদিল্লি: বড় রকমের ধাক্কা গতকালই সুপ্রিম কোর্টের তরফে খেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি আইন এবং বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কৃষি আইন কার্যকর করা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বিরত না হলে সেটি সুপ্রিম কোর্ট করবে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে আরো বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের তরফে কৃষি আইনে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপাতত তিনটি কৃষি আইন প্রয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ আপাতত কার্যকর নয় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন। এদিন সুপ্রিমকোর্টের তরফে এই স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে, তারাই এই সমস্যার সমাধান করবে। তাই আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন সিদ্ধান্ত দেন।

গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বার্তা ছিল, আইন কার্যকর করা থেকে বিরত না হলে আমরা তা করব৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত৷ এক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, তাদের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে সমস্যা সমাধান করার জন্য আইন বাতিল করার। কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে কেউ তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। বিক্ষোভরত কৃষকদের এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষার ব্যাপারে তারা চিন্তিত। এক্ষেত্রে যারা সত্যি সত্যিই এই সমস্যার সমাধান চান তাদের নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। কৃষক সংগঠনের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বার্তা, এটা কোন রাজনীতির ব্যাপার নয়, রাজনীতির সঙ্গে আইন এর তফাৎ রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে তাদেরও বোঝাপড়ায় আসতে হবে।

গতকালের মামলার শুনানিতে আন্দোলনরত কৃষকদের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, রাস্তা অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করবেন না৷ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব৷ আলোচনা চালিয়ে যাওয়া প্রযোজন, তবে রাস্তা বন্ধ করে নয়৷ আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান হোক বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় দিল্লির চার সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের দাবি, কোনওরকম বিকল্প বা সংশোধনী নয়, কৃষি সংক্রান্ত তিনটি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে৷ বৈঠকের আগেও এমনই কড়া অবস্থান জানিয়েছিল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন বাতিল না হচ্ছে, প্রয়োজনে এক বছর ধরে অবস্থান করতেও রাজি আন্দোলনরত কৃষকরা৷ 

.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − twelve =