নয়াদিল্লি: সিবিআই তদন্তের জন্য রাজ্যের সম্মতি আবশ্যক৷ রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া কেন্দ্র সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না৷ বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতের এই রায়ে স্বস্তিতে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি৷
আরও পড়ুন- জম্মুর টোল প্লাজায় এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি, চলছে চিরুনি তল্লাশি
উত্তরপ্রদেশে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এই রায় শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ এদিন রায় ঘোষণার সময় দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট-এর কথা উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি বিআর গভাই৷ এই আইনেই সিবিআই-কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ দেশের আটটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সিবিআই এর উপর থেকে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷ তদন্ত করতে গেলে এবার থেকে এই আট রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ এই আট রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীশগড়, রাজস্থান, কেরল, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম এবং পঞ্জাব৷
এদিন আদালত জানায়, ‘আইন অনুসারে রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে পারবে না কেন্দ্র৷ এর জন্য রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগবে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই আইন তৈরি করা হয়েছে৷’’ শুধু হস্তক্ষেপই নয়, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কোনও মামলার তদন্তে সিবিআই-এর পরিধিও বিস্তার করতে পারবে না কেন্দ্র৷ অন্যদিকে, মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালনিস্বামী বলেন, রাজ্যে সিবিআই-এর উপর থেকে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহারের কোনও প্রয়োজন নেই৷ তবে প্রয়োজন পড়লে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন- হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনার জন্য গরম তাবু, থাকছে আরও সুবিধা
উত্তরপ্রদেশে কয়লা দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হস্তক্ষেপ নিয়ে একটি মামলায় এদিনের এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত৷ রাজ্যে একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কয়লা বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ এই দুর্নীতিতে নাম জড়ায় রাজ্য সরকারের দুই অফিসারেরও৷ আচমকাই সিবিআই হানা দিয়ে এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করে৷ সিবিআই-এর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আদালতে যান অভিযুক্ত দুই অফিসার৷ তাঁদের দাবি ছিল, সিবিআই-কে দেওয়া রাজ্যের সাধারণ সম্মতি যথেষ্ট নয়৷ কোনও মামলার তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে৷