নয়াদিল্লি: পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে মামলাকারীরা৷ এদিন কড়া ভাষায় প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি বিনীত সরন এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জানায়, সিস্টেমের উপর আস্থা রাখুন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পেগাসাস নিয়ে এত আলোচনা হবে কেন? যা ডিবেট হবে, তা আদালত কক্ষের মধ্যে হবে৷ বাইরে নয়৷
আরও পড়ুন- প্রার্থী ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে ক্রিমানাল রেকর্ড, সুপ্রিম নির্দেশ
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে এক প্রস্থ শুনানি হয়েছে৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার মামলাকারীদের স্পষ্ট বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘‘কেউ যেন সীমা লঙ্ঘন না করে৷ প্রত্যেকেই নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ পাবেন৷’’ প্রধান বিতারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা সর্বদাই আলোচনার পক্ষে৷ মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে৷ ফলে সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে৷’’ সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, এই মামলার যাবতীয় প্রশ্ন লিখিত আকারে দিতে হবে৷ এই বিষয়ে বাইরে কথা বলা যাবে না৷ সোমবার পর্যন্ত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে৷ আদালতের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা৷
এদিন প্রধান বিচারপতি দুটি প্রশ্ন তোলেন৷ প্রথমত, কেন ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখিত আবেদনকারীরা এফআইআর দায়ের করেননি? এবং দ্বিতীয়ত, ২০১৯ সালে পেগাসাসা ইস্যু সামনে এসেছে৷ তাহলে এতদিন পর কেন পিটিশন দায়ের করা হল? উল্লেখ্য, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ৷ অধিবেশনের শুরু থেকে পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সোচ্চার হন বিরোধী নেতারা৷ পেগাসাস স্নুপিং কাণ্ডে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে৷ তবে গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, পেগাসাস নির্মাতা এনএসওর সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও সংযোগ নেই।