ব্রেকিং: আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ বৈধ, রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

ব্রেকিং: আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ বৈধ, রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা: কলেজে ভর্তি ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর (EWS)-দের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ৷ রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের। এই সংরক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, তাতে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দিল শীর্ষ আদালত৷  সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, এই সংরক্ষণ সমাজে কোনও বৈষম্য তৈরি করছে না। তাছাড়া এটি সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থীও নয়৷

আরও পড়ুন- একাধারে ডাক্তার, আইপিএস, আইএএস… অশান্ত কাশ্মীর থেকে উঠে আসা এক তেজস্বিনী রুবেদা

এদিন ২০১৯ সালে সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীকে একটি সাংবিধানিক এবং বৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আদালত জানায়, ইডব্লিউএস কোটা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে লঙ্ঘন করেনা। তবে বিচারপতি ভাট এই সংরক্ষণকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন। বাকি বিচারকদের সঙ্গে তিনি সহমত পোষণ করতে পারেননি। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া গরিব মানুষদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষে বরাবরই মত প্রকাশ করে এসেছে সঙ্ঘ পরিবার। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের বর্তমান সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবত অতীতে সংরক্ষণ নিতে বহুবার তাঁর দাবি জানিয়েছেন। মূলত সঙ্ঘের চাপেই কেন্দ্রের সরকার সংবিধান সংশোধন করে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য উচ্চ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে৷ এ নিয়ে পিটিশন দাখিল হলে এদিন ঐতিহাসিক রায় দেয় শীর্ষ আদালত৷ 

সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এদিন জানিয়েছে, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষমতায়নের অন্যতম মাধ্যম হল সংরক্ষণ৷ আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছলদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে তা সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও ভাবে আঘাত করে৷ কারণ দেশের সংবিধান সমাজের সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার ফলে এতে অসুবিধার কিছু নেই। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত আগামীকাল অবসর নেবেন। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করবে, তা অনুমেয় ছিল।