নয়াদিল্লি: চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধারায় মামলা করা যাবে না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের সমর্থনে এদিন একই কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বড়সড় ধাক্কা খেলো উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় দিয়েছিল তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ বিজেপি সরকার। সেখানেই কাফিল খানের মামলায় বড় রকমের ধাক্কা খেতে হল তাদের।
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী একটি ভাষণের জন্য কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় যে বক্তৃতা তিনি দিয়েছিলেন, সেই বক্তৃতায় শান্তি বিঘ্নিত হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতেই এনএসএ ধারায় কাফিল খানকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই আইন অনুযায়ী কমপক্ষে এক বছর যে কাউকে গ্রেফতার করে রাখা যায়। কাফিলের জামিন হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্ট কাফিল খানকে মুক্তি দিয়ে বলে, তাকে গ্রেফতার করা বেআইনি পদক্ষেপ ছিল। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে এদিন সেখানেও জোর ধাক্কা খেয়েছে তারা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রায় দিয়ে জানিয়েছেন, এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে, সেই রায় বহাল থাকবে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, যেকোনো ফৌজদারি মামলার বিচার হয় সেই মামলার নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী, অন্য একটি মামলায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা যায় না। তাই এই বিষয়ে নতুন করে রায় দেওয়ার কোনো কারণ নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই এদিন টুইট করে সকলকে ধন্যবাদ জানান ডাক্তার কাফিল খান। লেখেন, অবশেষে বিচার পেয়েছেন তিনি।