নয়াদিল্লি: ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার করতে পারে এবং নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে! সম্প্রতি ত্রিপুরা পুরভোট ইস্যুতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে অশান্তির অভিযোগ আসছিল অনেক আগে থেকেই। মূলত তৃণমূল কংগ্রেস বারংবার এই নিয়ে সরব হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ পাওয়ার পর যে তারা স্বস্তির শ্বাস নেবে তা বলাই যায়। উল্টো দিকে, আদালতের নির্দেশের পর জোর ধাক্কা খেল বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার।
ত্রিপুরা রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পর থেকেই তাঁদের ওপর হামলা করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবারও আগরতলায় তৃণমূল প্রার্থীকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে। আগরতলায় তৃণমূলের প্রার্থী অপর্ণা বিশ্বাসের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। তাঁর পরিবারেসে সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, অন্য বিরোধী দলের সদস্য এবং কর্মীদেরও আক্রমণ করা হচ্ছে বলে হইহই। সেই প্রেক্ষিতেই বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেবের অভিযোগ ছিল, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি, ভাঙচুর এবং ভোটপ্রচারের সামগ্রীও নষ্ট করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যে, সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই প্রচার চালানোর অধিকার রয়েছে। তাই সেই মত পদক্ষেপ নিতে হবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে।
এদিকে আবার বড় এক তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার পুরভোটে ৩৩৪ আসনের মধ্যে ১১২টি আসনে নাকি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি! সবকটিতেই বিরোধী প্রার্থী নেই। কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, আবার কেউ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও তা তুলে নিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের বিজেপি সরকার সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং ভয় দেখানো হচ্ছে।