রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজীব কুমারের, রাজীবের রক্ষাকবচ তুলে নিল শীর্ষ আদালত৷ ফের অস্বস্তিতে রাজীব কুমার৷ চিটফান্ড মামলায় রাজীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ এই সময়ের মধ্যে রাজীব কুমার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পানেন৷ জামিনের আবেদনও জানাতে পারবেন তিনি৷ আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হলেও

রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজীব কুমারের, রাজীবের রক্ষাকবচ তুলে নিল শীর্ষ আদালত৷ ফের অস্বস্তিতে রাজীব কুমার৷ চিটফান্ড মামলায় রাজীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না৷  এই সময়ের মধ্যে রাজীব কুমার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পানেন৷ জামিনের আবেদনও জানাতে পারবেন তিনি৷ আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হলেও আজ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনও প্রভাব ফেলবে না৷

এর আগে রাজীব কুমার মামলায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তখন জানা গিয়েছিল, গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে জুলাই মাসের শুরুতে রায় দেবে বেঞ্চ। মামলায় ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজীব কুমারকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন৷ একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ ছাড়া রাজীবকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷

কিন্তু, আজ রাজীবের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেয় সুপ্রিম৷ আজ, মামলার রায়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জেরার জন্য রাজীবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই৷ রাজীবকে গ্রেপ্তার করতেও পারবে সিবিআই৷ তবে, আগামী ৭ দিন রাজীবের গায়ে হাত দিতে পারবে না সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের পেশ করা সমস্ত তথ্যপ্রমাণই অভিযুক্ত রাজীবকুমারের বিপক্ষে গিয়েছে। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সরিয়ে নেওয়া হল তাঁর গ্রেপ্তারির রক্ষাকবচ।

এদিনের এই রায় প্রসঙ্গে রাজীব কুমারের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘‘এই রায় দেখে সিবিআইয়ের উৎফুল্ল হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ কারণ, সাত দিন পর্যন্ত রাজীব কুমারের উপর রক্ষাকবচ থাকছে৷ অষ্টম দিনেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব৷’’

অভিযোগ, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে ২০১৩ সালে সিট গঠন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ পরিচালনার দায়িত্বে রাখা হয় রাজীব কুমারকে। ২০১৪-য় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত অধিগ্রহণ করে সিবিআই। ২০১৮ সালে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্ত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট অথবা নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার৷ যার জেরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে তাঁকে চিঠি দেয় সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থার তরফে অভিযোগ, বারবার চিঠি পেয়েও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেননি রাজীব৷ যার ফলে এবছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর সরকারি বাসভবনে পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৪০ সদস্যের একটি দল। কিন্তু ওই দলের কাছে পর্যাপ্ত অনুমতি না থাকায় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে রাজীব কুমারের বাসভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়৷ শুরু হয় রাজ্য বনাম সিবিআই যুদ্ধ৷ তিন দিনের ধর্নায় বসেন মমতা৷

এই ঘটনার পর রাজীবকে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সিবিআই৷ রাজীবের গ্রেপ্তারির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে, জেরার জন্য সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ শিলং দফায় দফায় জেরার পর সুপ্রিম কোর্টে রাজীবের গ্রেপ্তারির চেয়ে আবেদন করে সিবিআই৷ আজ ছিল সেই মামলার শুনানি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − two =