নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই টিকার দাম প্রকাশ্যে এসেছে। দুটি টিকার আলাদা দাম নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা টিকার দামও আলাদা। সব মিলিয়ে টিকার দাম প্রসঙ্গে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেন্দ্রের কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে বিরোধিতা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে টিকার দাম আলাদা হবে কেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য আলাদা দামে কেন টিকা পাবে এই নিয়ে এবার কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে, এখন রাজনীতি করার সময় নয় কারণ এটা জাতীয় বিপর্যয়। আদালত যখন চাইবে তখন হস্তক্ষেপ করবে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, গোটা দেশে ভিন্ন ভিন্ন দামে মিলছে ভ্যাকসিন৷ ১৫০ টাকায় ভ্যাকসিন পাচ্ছে কেন্দ্র৷ রাজ্য পাচ্ছে ৪০০ টাকায়৷ এই পার্থক্য কেন হবে, তা নিয়েও আদালত প্রশ্ন তোলে৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রের জবাব তলবও করেছে শীর্ষ আদালত৷ পাশাপাশি ড্রাগ কন্ট্রোল আইনে কেন দাম কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্র? জানতে চায় আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘এখন জাতীয় বিপর্যয়, আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। আদালত যখনই মনে করবে, তখনই হস্তক্ষেপ করবে।’ এদিন শুনানি চলার সময় বিচারপতি ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ১৮ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য যখন টিকাকরণ শুরু হচ্ছে, তখন চাহিদা আরও বাড়বে৷ বহুগুণ মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য আসবেন৷ সেই চাহিদা কী ভাবে মেটানো হবে? এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, ‘‘করোনা মোকাবিলার জন্য কী কী উপায় রয়েছে? ভ্যাকসিনই কি করোনা মোকাবিলার একমাত্র উপায়?’’
গতকাল, নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত কারণ তাদের জন্যই দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ হুঁশিয়ারির সুরে বলে, ২ মে গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল পালন করার বিষয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।