গরু পাচার পেশাগত মৌলিক অধিকার নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা: গোরু পাচারকারীদের দখলে যেসব গবাদি পশু থাকে সেগুলি যদি পুলিশ আটক করে তবে তা মৌলিক অধিকার ভঙ্গের আওতায় পড়ে না। এছাড়া সেই পশু আশ্রয়স্থলে রাখলেও তাতে মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হয় না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে অ্যাফিড্যাভিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কলকাতা: গোরু পাচারকারীদের দখলে যেসব গবাদি পশু থাকে সেগুলি যদি পুলিশ আটক করে তবে তা মৌলিক অধিকার ভঙ্গের আওতায় পড়ে না। এছাড়া সেই পশু আশ্রয়স্থলে রাখলেও তাতে মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হয় না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে অ্যাফিড্যাভিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা দমন শর্তাবলী [Prevention of Cruelty to Animals (Care and Maintenance of Case Property Animals)] আগে থেকেই চালু ছিল। ২০১৭ সালের ২৩ মে সেই শর্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মৌলিক অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করে বাফেলো ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়, ওই আইনে অবৈধ ভাবে পাচার করা গবাদি পশু হেফাজতে নেওয়া নিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এও বলা হয় এই সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই পশুগুলি গোশালা বা পশু আশ্রয় শিবিরে রাখার নির্দেশও রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে এনিয়ে একটি নির্দেশ জারি করে। সেখানে বলা হয় এই শর্তাবলী ১৯৬০ সালে পাশ হওয়া পশুর উপর নিষ্ঠুরতা দমন আইনের ২৯ নম্বর ধারার পরিপন্থী। শুধুমাত্র দোষী সাব্যস্ত হলে তবেই পশুর মালিকানা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। 

তবে ২০১৭ সালে নির্ধারিত শর্তাবলীর ৩ নম্বর শর্ত অনুযায়ী অবৈধ পশু পাচার মামলায় বিচারক অভিযোগের আওতাধীন পশুর ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশ জারি করতে পারেন। সেগুলি হল- পশু বাজেয়াপ্ত করা এবং পশুশালা, পশু উন্নয়ন সংগঠন বা গোশালায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা। নতুন এই শর্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই বলবৎ করার বিধানও দেওয়া হয়েছে। বাফেলো ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের উত্তরে সোমবার একটি অ্যাফিড্যাভিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়, ওই আবেদন ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। কেন্দ্র জানায়, শর্তে উল্লেখ পশুদের ‘হেফাজতে রাখা’র কথা করা হয়েছে। এটি যা অস্থায়ী ব্যবস্থা। এখানে পশুদের ‘বাজেয়াপ্ত’ করার কথা বলা হয়নি। এর অর্থ মালিকানা অবলুপ্ত হওয়া।

আবেদনে বলা হয়েছে, আইন নিজেদের হাতে তুল নেয় সমাজবিরোধীরা। তাদের কারণে পশু পরিবহণকারী, পশু ব্যবসায়ী এবং পশুপালকরা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের সংগ্রহে থাকা গবাদি পশু লুঠ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই ধরনের ঘটনা যে সমাজের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেরুকরণ, এমন কথাও বলা হচ্ছে। এই সমস্ত কাজ অবিলম্বে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে বন্ধ করা না গেলে সমাজ ব্যবস্থার উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের অ্যাফিড্যাভিটের জবাব দিতে আবেদনকারী সংস্থা এবং পশু অধিকার আন্দোলনকারীদের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *