বিক্ষোভ হোক, তবে দীর্ঘদিন রাস্তা আটকে নয়! কৃষকদের ‘সুপ্রিম’ বার্তা

বিক্ষোভ হোক, তবে দীর্ঘদিন রাস্তা আটকে নয়! কৃষকদের ‘সুপ্রিম’ বার্তা

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে চলছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন কৃষি আইন এনেছে তার প্রতিবাদে এই আন্দোলন গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। এতদিনে প্রতিবাদে সামিল হওয়া বেশ কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু আন্দোলন আন্দোলনের জায়গাতেই আছে। কৃষকরা নিজেদের প্রতিবাদে অনড়। দিল্লির সিংঘু সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছে কৃষক সংগঠনগুলি। রাস্তা থেকে তাদের সরাতে একাধিকবার দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা কিন্তু আদতে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। এবার এই ইস্যুতে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।

বিক্ষোভ চলতেই পারে কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করা যেতে পারে না! কৃষকদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি এই ইস্যুতে কৃষক সংগঠনগুলিকে মতামত জানাতে তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আসলে কৃষকদের রাস্তা থেকে সরাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নয়ডার এক ব্যক্তি। তিনি আদালতে বলেন, বিক্ষোভ চলতেই পারে এবং আন্দোলন হতে পারে কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য এইভাবে রাস্তা বন্ধ রাখা যায় না। অবিলম্বে কৃষকদের যাতে রাস্তা থেকে সরানো হয় সেই আবেদন করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কিন্তু এইভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে কোন বিক্ষোভ চলতে পারে না। কারণ প্রতিবাদের যেমন অধিকার রয়েছে ঠিক তেমনি মানুষের রাস্তায় চলার অধিকার রয়েছে। তাই আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালত কৃষকদের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে এই ইস্যুতে। 

কৃষক আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল তারপর থেকেই গোটা দেশ বিক্ষিপ্তভাবে উত্তপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি আবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনায় উত্তাপ বেড়েছে এদেশের কৃষক মহলে এবং একই সঙ্গে বিরোধীদের অন্দরে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে যাতে তারা নতুন কৃষি আইন বাতিল করে দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে এই ইস্যুতে কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তাই আন্দোলন যে এখনো চলবে তা বলাই বাহুল্য, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বার্তার পর কৃষকরা রাস্তা অবরোধের ব্যাপারে কী ভাবেন তা জানার অপেক্ষায় সকলে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *