নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রয়েছে। নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর থেকে একের পর এক অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। এমনকি এই ইস্যুতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। এবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সহ নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী এক মাসের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২ মে’র পর থেকে বাংলায় কর্মী এবং সমর্থকদের ব্যাপক অত্যাচার করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। একাধিক গেরুয়া কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া এবং অনেককে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি রাজ্যে মহিলা নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে বলেও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে সুর ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর সেই চাপ আরো বেড়েছে। আর এখন এই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে। এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। তবে সরকার যদি কোন ব্যবস্থা নেয় সেই ব্যাপারে সমস্ত তথ্য শীর্ষ আদালতকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল রান্নার গ্যাসের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ সুস্পষ্ট দাবি করে জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখন কাশ্মীরের থেকেও খারাপ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জেপি নাড্ডা মন্তব্য করেছেন যে, বঙ্গভঙ্গের সময় যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল এখন পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ঠিক সেই রকম। এককথায় ভোট-পরবর্তী ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সব রকম ভাবে চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি।