নয়াদিল্লি: শ্রমিকদের বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ লকডাউনের মধ্যে ৫৪ দিনের পুরো বেতন পাওয়ার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলা ৪ সপ্তাহের মধ্যে এবার কেন্দ্রকে হলফনামা চেয়ে পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷
মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিল্প ও শ্রমিক একই অপরের উপর নির্ভরশীল৷ শ্রমিক সংগঠন মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোও পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ যদিও এর আগের একটি মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, লকডাউনের কারণে কর্মীদের বকেয়া বেতন যদি কোন সংস্থা দিতে না পারে তাহলে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷ কিন্তু, আজ পৃথক একটি মামলায় লকডাউন চলাকালীন পুরো বেতন দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
গত ২৯ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা৷ বলা হয়, লকডাউনের মধ্যে কোন শ্রমিকের বেতন কাটা যাবে না৷ সেই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মালিকপক্ষ৷ ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ এই দাবিতে শীর্ষ আদালতে দাবি জানান তাঁরা৷ মালিকপক্ষের তরফে জানানো হয়, লকডাউনের কারণে কারখানা বন্ধ৷ উৎপাদন যখন বন্ধ, তখন তারা কীভাবে শ্রমিকদের বেতন দেবেন? আর সেই কারণে বেতন দেওয়া যাবে না বলেও মালিকপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়৷ ৫৪ দিনের লকডাউনের মধ্যে পুরো টাকা পাওয়ার দাবিতে আজ দীর্ঘ মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে৷
সেখানে শীর্ষ আদালতে দুই পক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে বিষয়টি মিটমাট করানো যায় কিনা তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷ একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে৷ শ্রমিকদের বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ লকডাউনের ৫৪ দিন পুরো বেতনের দাবিতে মামলা প্রসঙ্গে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে হলফনামা জমা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শিল্প এবং শ্রমিক একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল৷ শ্রমিক সংগঠনগুলি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বললে সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারে৷ কিন্তু মীমাংসা না হলে শ্রমমন্ত্রকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷