নয়াদিল্লি: একদিকে করোনা মহামারী, তার উপর চলতি গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে প্রাণহানির আশঙ্কা৷ ঠিক যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা! করোনা মহামারীর মধ্যেই তাপপ্রবাহে প্রাণহানির বিষয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ যদিও এখন কালবৈশাখীর সৌজন্যে এপ্রিল শেষে গরম কিছুটা কম হলেও গ্রীষ্ম দাপ এখনও বাকি!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায় থাকা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, চলতি বছরে গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহ ভয়াবহ আকার নিতে পারে৷ রাজস্থান ছেকে শুরু করে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র থেকে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কর্ণাটকের উত্তরভাগ, ঝাড়খণ্ড থেকে বিহার দক্ষিণভাগ হয়ে ওড়িশায় প্রভাব পড়তে৷ উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমভাগ ও তামিলনাডুর কিছুটা অংশ মিলিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের এবার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ কেন্দ্রের তালিকা থেকে বাদপড়েনি বাংলাও৷ পশ্চিমবঙ্গও তাপপ্রবাহে সতর্কতা রয়েছে বলে খবরে প্রকাশ৷ মে মাসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
কেন্দ্রের আশঙ্কা, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে যেতে পারে৷ তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র৷ রাজ্যগুলিকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনার চিকিৎসা নিয়ে এখন ব্যস্ত রয়েছে রাজ্য৷ কিন্তু, তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতার বিষয়েও যেন পরিকাঠামো তৈরি রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷
লকডাউন পরবর্তী প্রচণ্ড গরম মোকাবিলায় কী করা উচিত বা কী কী উচিত নয়, তার তালিকাও পাঠানো হয়েছে৷ পুলিশ কর্মী থেকে প্রবীণ, গর্ভবতী মহিলা ও চাকরিদাতা সংস্থাগুলি কি সাবধানতা অবলন্বন করতে পারে, তা স্পষ্ট করা আছে সেই তালিকায়৷