নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং এবং তাঁর সরকার একদিকে বলছে যে, কংগ্রেস জমানার ভুল সংশোধন করে এখন দেশ প্রগতির দিকে এগোচ্ছে। শিল্প থেকে শুরু করে কৃষি, চাকরি, সবক্ষেত্রেই উন্নয়ন হচ্ছে। এই দাবির ঠিক অন্যদিকে রয়েছে ঘুম ওড়ানো তথ্য। জানা গিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে আত্মঘাতী হয়েছে ২৫ হাজার মানুষ! যার মূল কারণ বেকারত্ব এবং ঋণের বোঝা। আর পরিসখ্যান দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- আই প্যাক নিয়ে মুখ খুলে বিপাকে সৌগত রায়, সতর্ক করল দল
রাজ্যসভায় বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বেকারত্ব এবং দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছেন কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। সব থেকে বেশি এই ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালে, করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন চালু হওয়ার পর। যে রিপোর্ট তিনি পেশ করেছেন তাতে উল্লেখিত রয়েছে, বিগত ৩ বছরে শুধুমাত্র বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৯ হাজার ১৪০ জন। এদিকে, ঋণের বোঝা থাকায় বা তা শোধ না দিতে পেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে প্রাণঘাতী হয়েছেন ১৬ হাজার ০৯১ জন। পাশাপাশি শুধু ২০২০ সালে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৩ হাজার ৫৪৮ জন। শুধু দেনা যদি আত্মহত্যার কারণ হয় তবে ২০১৮ সালে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৪ হাজার ৯৭০ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৫ হাজার ৯০৮ জন এবং ২০২০ সালে তা হয়েছে ৫ হাজার ২১৩ জন।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সে নির্বাচনী আবহে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসায় অবশ্যই চাপে পড়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। অনেক আগে থেকে দেশের বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে বিরোধীরা। এটাও স্পষ্ট করা হয়েছিল যে, করোনা কালে আরও খারাপ হয়েছে দেশের যুব সমাজের অবস্থা। বিগত ৪৫-৪৬ বছরের ন্যায়ে সবথেকে করুণ অবস্থা দেশের সেটাও দাবি করা হয়েছিল। তবে এই সব অভিযোগে সেই অর্থে কোনও আমল দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।