নয়াদিল্লি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর জাতীয় রাজনীতিতে আরও বড় মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা পুরভোটের ইতিমধ্যেই লড়াই করছে তৃণমূল এবং এর পাশাপাশি একাধিক রাজ্যের দিকে নজর রয়েছে তাদের। এই আবহে দিল্লি সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতার কিন্তু তার আগে জাতীয় রাজনীতির একাধিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁর উপস্থিতিতে। কীর্তি আজাদ থেকে শুরু করে পবন শর্মা ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এবার কি বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর পালা?
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপির এই বিক্ষুব্ধ সাংসদ। একাধিক ইস্যু নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনেকবার মুখ খুলেছেন স্বামী। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছেন প্রকাশ্যে জানিয়ে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। তিনি যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনেক সিদ্ধান্তে খুশি নয় প্রায় সকলেই জানেন। তাই দিল্লি সফররত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির এই সাংসদের সাক্ষাৎ অবশ্যই জল্পনা বৃদ্ধি করছে। যদিও আজ দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি কিন্তু স্বামী সংবাদমাধ্যমের সামনেই জানিয়েছেন যে তিনি প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।
মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে লিখেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদী ভারতের রাজা নয়। অনেকেই মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রীর নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাবার জন্য তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছেন। তবে কারণ যাই হোক না কেন, বিজেপি সাংসদ যদি এখন দলবদল করে মমতার দলে নাম লেখান তাহলে নিতান্তই তা জাতীয় রাজনীতির পেক্ষাপটে বড় খবর হবে।