আমাদের উদ্ধার করুন! অমিত প্রদেশে বন্দি বাংলায় বহু পড়ুয়া, সরকারি অনুগ্রহের অপেক্ষা

আমাদের উদ্ধার করুন! অমিত প্রদেশে বন্দি বাংলায় বহু পড়ুয়া, সরকারি অনুগ্রহের অপেক্ষা

আমেদাবাদ:  লকডাউনের জেরে সুদূর বাংলা থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে আসা বহু ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েছেন গুজরাতে৷ আচমকা লকডাউনে বাড়ি ফিরতে পারেননি তাঁরা৷ তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর  ট্যুইটার পেজে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার মানুষদের ঘরে ফেরানোর কথা ঘোষণা করার পর স্বস্তিতে পড়ুয়ারা৷

গুজরাতের আমেদাবাদ এবং গান্ধীনগরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া এখন ঘরে ফেরার অপেক্ষায়৷ পরিবারের কাছে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা৷ এই পড়ুয়াদের অধিকাংশই আইআইটি গান্ধীনগর, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ গুজরাত (সিইউজি), কর্নাবতী বিশ্ববিদ্যালয়, আইআই-আরএএম, রক্ষাশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কাদির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০৫টি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করার পর স্বস্তিতে এই পড়ুয়ারা৷ 

সিইউজি’র এক ছাত্রী শর্মিষ্ঠা হাজরা জানান, গুজরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের রাজ্যে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা৷ ‘‘বহু বার চেষ্টার পর অবশেষে বুধবার রাজ্যের নোডাল অফিসার পিবি সেলিম আমাদের কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে পাঠান৷ তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানানো হয়নি৷ আমরা অপেক্ষায় আছি৷’’

শর্মিষ্ঠা আরও বলেন, আমেদাবাদ এবং গান্ধীনগরে সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে৷ এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পক্ষে খাবার রসদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বন্দোবস্ত করা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে৷ অন্যদিকে, গুজরাতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত আমেদাবাদ এবং গান্ধীনগর৷ সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরাও৷ 

আবার উত্তর দিনাজপুরের মেয়ে সিইউজি’র পিএইচডি-র ছাত্রী চিত্রাঙ্গদা বলেন, এতদিন অনলাইনেই খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী অর্ডার দিয়ে আনাচ্ছিলাম আমরা৷ কিন্তু  সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ এখন আমাদের সামনে বেঁচে থাকাটাই বড় প্রশ্ন৷ 

আইআইটি-জিএনের এক ছাত্র বলেন, ‘‘আমি গান্ধীনগরে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি৷ পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে আমি আমেদাবাদের একটি সংস্থায় কাজ করি৷ কিন্তু লকডাউনে প্রবল সমস্যায় পড়েছি৷ ঠিকমতো জল সরবরাহ পর্যন্ত হচ্ছে না৷ সবজি আর প্যাকেট ফুডও অমিল বাজারে৷’’

গান্ধীনগরের কালেক্টর কুলদীপ আর্য বলেন,  ‘‘স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১,২০০ মানুষ রয়েছে গান্ধীনগরে৷ তাঁদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকাকরে পাঠানো হয়েছে৷ তারা অনুমতি দিলেই আমরা ট্রেন চালাব৷’’

সঠিক খবরের জন্য নজর থাকুক আজ বিকালের পাতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + one =