নয়াদিল্লি: ইউক্রেনে যেদিন থেকে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়াকে উদ্ধার করা গেলেও অধিকাংশ এখনও আটকে সেখানেই। মোদী সরকার ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু করেছে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করার জন্য। এই উদ্ধারকাজকে বিজেপি শিবির বিরাটভাবে ভোট প্রচারেও ব্যবহার করছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ পড়ুয়াই হয় আটকে ইউক্রেনে, না হয় পড়শি কোনও দেশে। গোটা এই উদ্ধারকাজের ইস্যু নিয়ে এখন ভারত সরকার পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখেও পড়ছে। তাদের প্রশ্ন, সরাসরি যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর থেকে তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে না কেন?
আরও পড়ুন- ‘আলোচনায় বসুন, আমি কামড়াব না, ভয় কীসের?’ পুতিনকে বার্তা জেলেনস্কির
কিয়েভ, খারকিভের মতো শহরে যখন লাগাতার হামলা করছে রাশিয়ান বাহিনী তখন সেখানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের যেভাবে হোক শহর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছিল নয়াদিল্লি। পড়শি দেশগুলিতে যেতে বলা হয়েছিল এবং সেখান থেকেই তাদের উদ্ধার করার পরিকল্পনা করা হয়। এখন এই জায়গা থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত পড়ুয়ারা প্রশ্ন তুলছে যে, কেন রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর থেকেই তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে না। কেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে, নিজের চেষ্টায় যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে অন্য দেশে আসার পর সেখান থেকে উদ্ধার করার হচ্ছে। যদিও এটাকে অনেকে ‘উদ্ধার’ বলে মনে করছে না। কারণ তাদের বক্তব্য, কেউ যদি যুদ্ধের মধ্যেই নিজেই ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে তাহলে অন্য জায়গা থেকে নিজেই বিমানের টিকিট কেটে দেশে ফিরতে পারে। তার জন্য আলাদা করে সরকারের দরকার পড়ে না।
আগেই ইউক্রেনে আটকে থাকা পড়ুয়ারা অভিযোগ তুলেছিল যে, সেখানের ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। যোগাযোগ করা হচ্ছে না, এমনকি ফোন করলে কেউ ফোনও ধরছে না। এখন আরও ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাদের বক্তব্য, যে সব দেশে যুদ্ধ হচ্ছে না, সেখান থেকে তাদের বিমানে চাপিয়ে নিয়ে এসে সেটা কেন বড় করে দেখানো হচ্ছে? তাদের স্পষ্ট কথা, যেখানে আসল যুদ্ধ হচ্ছে সেখানে ভারত সরকারের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নাগরিকদের উদ্ধার করে আনাকেই উদ্ধার অভিযান বলে। এক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।