JNU-জুড়ে আতঙ্ক, হোস্টেল ছেড়ে বাড়ির পথে পড়ুয়ারা! লাটে পঠন-পাঠন

JNU-জুড়ে আতঙ্ক, হোস্টেল ছেড়ে বাড়ির পথে পড়ুয়ারা! লাটে পঠন-পাঠন

নয়াদিল্লি: জেএনইউতে লেডিস হোস্টেলের সামনে পড়ুয়াদ ও অধ্যাপকদের ওপর মুখোশপরা দুষ্কৃতীদের হামলার  আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা৷ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছাত্রীরা৷ ইতিমধ্যে অনেকে ছাত্রী হস্টেল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করেছেন৷ অনেকে আবার দিল্লিতে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে কিছুদিনের জন্য আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে৷

জেএনইউয়ের পড়ুয়া পঞ্চম জানিয়েছেন, হস্টেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনি আর নিরাপদ অনুভব করছেন না৷ আরও বড় কোনও হামলার আশঙ্কা করছেন৷ সেই কারণে তিনি কয়েকদিনের জন্য হস্টেলে থাকবেন না বলে ঠিক করেছেন৷তিনি জেএনইউ-য়ের কোয়েনা হস্টেলে থাকেন৷ রবিবার দুষ্কৃতীরা যে তিনটি হস্টেলে হামলা করে, তা্র মধ্যে কোয়েনা হস্টেল অন্যতম৷

সাংবাদিকদের প্রশ্নে পঞ্চম জানান, তাঁর বাবা-মাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ এমএ দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী জানান, তাঁর বাড়ি হরিয়ানায়৷ বর্তমানে তিনি সেখানেই ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন৷ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই তিনি ফিরবেন৷  অন্য এক ছাত্রী এদিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি নেপাল থেকে এখানে পড়তে এসেছেন৷ যমুনা হস্টেলে থাকেন৷ উদ্বিগ্ন অভিভাবক কিছু দিন হস্টেলে থাকতে তাঁকে বারণ করেছেন৷ বর্তমানে তিনি গুরুগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে কিছুদিন থাকার পরিকল্পনা করেছেন৷

যদিও এখনও অনেক ছাত্রী হস্টেলে থেকে যাওয়ারই পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ মনিকা নামের এক ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন হস্টেলের বাইরে থাকতে বলছেন৷ তবে তিনি ঠিক করেছেন, ক্যাম্পাসেই থাকবেন৷ তিনি জানিয়েছেন, সবরমতী হস্টেলেক প্রেসিডেন্ট তিনি৷ তাই কিছু দায়িত্ব তাঁর থেকে যায়৷ সেখান থেকেই তিনি হস্টেলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

রবিবার সাড়ে সাতটা থেকে আটটা নাগাদ বেশ কিছু দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হস্টেলে হামলা চালায়৷ পড়ুয়াদের পাশাপাশি অধ্যাপকদেরও মারধর করা হয়৷ ঘটনায় দুই অধ্যাপক সহ ২২ জন গুরুতর আহত হন৷ তাঁদের দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বার বার পুলিশে ফোন করা হলেও, ভাঙচুর ও হামলার পর ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিশ আসে বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ তবে এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলেই খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *