আজব কাণ্ড! মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে আসায় সাংবাদিকদের বন্দি করলেন জেলাশাসক

আজ বিকেল: যোগীর রাজ্যে একুশে আইন চলছে, তাইতো তাঁর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় জরুরি বিভাগে বন্দি থাকলেন সাংবাদিকরা। ঘটনাটি শুনে চমকে উঠলেও এটিই বাস্তব। পরে পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলে জেলা শাসক নিজে গিয়ে জরুরি বিভাগের দরজা খুলে দেন। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ মোরাদাবাদের জেলাশাসক রাকেশ কুমার। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, অসত্য

আজব কাণ্ড! মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে আসায় সাংবাদিকদের বন্দি করলেন জেলাশাসক

আজ বিকেল: যোগীর রাজ্যে একুশে আইন চলছে, তাইতো তাঁর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় জরুরি বিভাগে বন্দি থাকলেন সাংবাদিকরা। ঘটনাটি শুনে চমকে উঠলেও এটিই বাস্তব। পরে পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলে জেলা শাসক নিজে গিয়ে জরুরি বিভাগের দরজা খুলে দেন। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ মোরাদাবাদের জেলাশাসক রাকেশ কুমার। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন কিছুই ঘটেনি।বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ  যখন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ওয়ার্ডে যাবেন, তখন সাংবাদিকরা যেন সেখানে ভিড় না করেন।

রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। এখানকার জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী  যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তাঁর পরিদর্শনের সময়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা বন্ধ করে আটকে রাখা হল সাংবাদিকদের! আদিত্যনাথ হাসপাতাল ঘুরে বেরিয়ে যাওয়ার পরে সাংবাদিকদের ওয়ার্ড থেকে বের করা হয়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমন আজব কাণ্ড যোগীর রাজ্যেই যে সম্ভব, তা অনেকেই মেনে নিয়েছেন। রবিবার কোনও বিশেষ কারণে নয়, অন্য সপ্তাহের মতোই রুটিন ভিজিটে হাসপাতালে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে সাংবাদিকদের আটকে রাখার পিছনে কাজ করেছে মোরাদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট রাকেশ কুমারের বুদ্ধি। তাঁর নির্দেশ মেনে এমনটা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, সাংবাদিকদের আটকে রাখা ওই ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশনের ইন-চার্জ নিজে। সাংবাদিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শনের খবর কভার করার জন্য আগে থেকে জেলাশাসকের অনুমতি নেওয়া ছিল তাঁদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের। কিন্তু কেন এমনটা হল, তার কারণ জানা না গেলেও গোটা ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে এই উত্তরপ্রদেশেই গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ  সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ টুইট করেছেন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গড়ায়, তবে সেখানে রাজ্যেরই মুখ পুড়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *