১০০ কিমি বেগে ঝড়ে লন্ডভন্ড রাজধানী, বাড়ি চাপা পড়ে মৃত ২

১০০ কিমি বেগে ঝড়ে লন্ডভন্ড রাজধানী, বাড়ি চাপা পড়ে মৃত ২

নয়াদিল্লি: সোমবার রাতে প্রায় একশো কিলোমিটার বেগে ঝড়ে রীতিমতো লন্ডভন্ড হল রাজধানী দিল্লি। এদিন রাতে হঠাৎই দিল্লির ওপর আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণি হাওয়া। জানা যাচ্ছে এই হঠাৎ ঝড়ে দিল্লিতে প্রায় ১৮০টি গাছ রাস্তায় উপড়ে পড়েছে, ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। আর সেই বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে দুজন দিল্লিবাসীর।

স্থানীয় সূত্রের খবর সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই হঠাৎ ঘূর্ণি হাওয়া শুরু হয় দিল্লি জুড়ে। রাত যত বাড়তে থাকে হাওয়ার তীব্রতাও তত বাড়তে থাকে। হাওয়ার দাপটে নয়াদিল্লি এবং মধ্যদিল্লিতে রাস্তায় একের পর এক গাছ উপড়ে পড়তে থাকে। ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি। এমনকি জামা মসজিদের গম্বুজের একাংশও হাওয়ার দাপটভেঙ্গে পড়ে বলে খবর। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে ছোট, বড় মিলিয়ে মোট ৮০ টি জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই হঠাৎ ঝড়ে। অন্যদিকে জামা মসজিদের কাছে এবং দিল্লির অঙ্গুরিবাগে বাড়ি এবং গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে দিল্লির ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঝড়ো হাওয়া। তবে মিনিট পনেরো এই ঝড়ের গতি প্রায় একশো কিলোমিটারের কাছাকাছি ছিল বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। আর তাতেই রীতিমতো বিপর্যস্ত রাজধানীর জনজীবন।

তীব্র দাবদাহ  এবং রেকর্ড হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর পরপর দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। গত সপ্তাহেও একবার এমন হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিল্লির একাধিক এলাকা। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয় সোমবার রাতে। জানা যাচ্ছে এই তীব্র ঝড়ে মূল ক্ষতি হয়েছে নয়াদিল্লি এবং মধ্য দিল্লির। ঝড়ের পরেই দিল্লির একাধিক এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৩ মে শেষবার একশো কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সাক্ষী হয়েছিলেন দিল্লিবাসী। এরপর এত তীব্র ঝড় আর কখনও দিল্লির উপর আছড়ে পড়েনি। অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবারের পর মঙ্গলবারও দিল্লির আকাশ মেঘলা থাকবে। তীব্র ঝড় বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে আগের থেকে। মঙ্গলবার দিল্লির সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে খবর। এছাড়া আগামী তিন দিন দিল্লিজুড়ে ১৮ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কথা জানাচ্ছে মৌসম ভবন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *