লকডাউনের এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করতে পারবে না রাজ্য, ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও ১৯ দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এই বর্ধিত মেয়াদে কোনও ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের ছকে দেওয়া গাইডলাইন লঙ্ঘন করতে পারবে না কোনও রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রের নির্দেশিকা ‘লঘু’ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি না রাজ্যগুলিকে৷ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হল৷ 

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও ১৯ দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এই বর্ধিত মেয়াদে কোনও ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের ছকে দেওয়া গাইডলাইন লঙ্ঘন করতে পারবে না কোনও রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রের নির্দেশিকা ‘লঘু’ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি না রাজ্যগুলিকে৷ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হল৷ 

জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে নয়া নির্দেশিকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে সবর্ত্র যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়, সে দিকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ অনুযায়ী কেন্দ্রের তৈরি নির্দেশিকা অমান্য করতে পারবে না রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি৷ কঠোর ভাবে প্রতিটি নিয়ম পালন করতে হবে৷’’

রাজস্ব বাড়াতে মদ বিক্রি শুরু করছিল বেশ কিছু রাজ্য৷ কিন্তু বুধবার কেন্দ্রের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যে মদ এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না৷ নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ২০ এপ্রিলের পর কৃষি ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স এবং আন্তঃরাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে৷ তবে এই ছাড় হটস্পটগুলির জন্য কখনোই প্রযোজ্য নয়৷  

সংশোধিত গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, ‘‘অর্থনীতিকে সচল রাখতে গ্রামীণ এলাকায় যে সমস্ত কলকারখানা রয়েছে বা সেখানকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, সড়ক নির্মাণ, কৃষিকাজের প্রকল্প, নির্মাণ ও শিল্প প্রকল্প, এমএনআরইজিএ-এর আওতায় কাজ, জল সংরক্ষণের কাজ এবং সাধারণ পরিষেবা দেওয়ার কেন্দ্র খোলা রাখা হবে।’’ লকডাউনের মাঝে এই সকল ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় মিললে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে৷ ২০ এপ্রিলের পর ছাড় দেওয়া হবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থায়৷  সেই সঙ্গে ছাড় দেওয়া হবে ট্রাক সারানোর দোকানগুলিকে৷ খোলা হবে রাস্তার পা’ধারে থাকা ধাবাও৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *