দেরাদুন: এখানে নেই কোনও খাকি উর্দিধারী, নেই কোনও অস্ত্রধারীও৷ পৃথক একটি ঘর সাজানো রয়েছে খেলনা দিয়ে৷ দেওয়াল জুড়ে মন মাতানো কার্টুন চিত্রের ভিড়৷ মোগলি থেকে ডোরেমন, ছোটা ভিম, সকলেরই দেখা মিলবে এখানে৷ রয়েছে ছোটদের কমিক বই৷ যার সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে খুদেরা৷ থানা বা জেল সম্পর্কে কোনও ধারনা যাতে শিশুমনে যাতে দাগনা কাটে, তা নিশ্চিত করতেই উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে তৈরি হল শিশু বান্ধব থানা৷ দেরাদুনের দালানওয়ালা থানায় শিশুদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- শুয়োরের চর্বির জিলেটিন! করোনা ভ্যাকসিন না নেওয়ার বার্তা মুসলিম সংগঠনের
এটাই উত্তরাখণ্ডের প্রথম শিশু বান্ধব থানা৷ দালানওয়ালা থানার দোতলায় এটি তৈরি করা হয়েছে৷ আপতত উদ্বাধনের অপেক্ষায় রয়েছে এই শিশুবান্ধব কর্নার৷ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুনে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর) একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, উদ্ধার হওয়া বা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কোনও শিশু বা নাবালককে কোনও কারণে থানায় রাখতে হলে দাগি আসামিদের সঙ্গে রাখা যাবে না৷ তাদের চাইল্ড ফ্রেন্ডলি বা শিশুবান্ধব কর্নারেই রাখতে হবে৷
আরও পড়ুন- বিশ্বের নজর কেড়েছে ভারতের Covaxin, টুইটে দাবি ICMR এর
বৃহস্পতিবারই শিশু বান্ধব থানা উদ্বোধনের কথা ছিল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের৷ কিন্তু তিনি করোনা পজেটিভ হওয়ায় আপাতত হোম আসোলেশনে রয়েছেন৷ ফলে তিনি সুস্থ হওয়ার পর নতুন করে উদ্বোধনের দিন ধার্য করা হবে৷ থানার মূল অংশের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে সাজানো হয়েছে এই শিশু বান্ধব কর্নারটি৷ মেঝেতেও রয়েছে উজ্জ্বল রং৷ জানলাগুলিও রঙিন৷ উত্তরাখণ্ডের চাইন্ড রাইট প্রোটেকশন কমিশনের তত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে এই ‘বাল মিত্র পুলিশ থানা’৷ শিশু বান্ধব রূপ দিতে সাহায্য করেছে বিভিন্ন স্যোশাল অর্গানাইজেশনগুলিও৷ এখানেই ছোট খাটো অপরাধ কিংবা শিশু শ্রমের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কাউন্সেলিং করা হবে৷ পুলিশ আধিকারিকরাও থাকবেন সিভিল পোশাকে৷ এই রকম একটি পরিবেশে শিশু মনেও কোনও ভীতির সঞ্চার হবে না৷