কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরও সংঘাত বাড়াল রাজ্যের শাসক দল৷ সংসদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় বিক্ষোভ তৃণমূলের৷ ওয়াকআউট৷ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ৷ অন্যদিকে, বিধানসভায় বেনজির বিক্ষোভ সরকারি দলের বিধায়কদের৷ রাজ্যপালের ভূমিকা কমাতে রুট আনার সিন্ধান্ত রাজ্যের৷
সূত্রের খবর, রাজ্যপালের ভূমিকা কমাতে রুল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপালের ভূমিকা কী? তা চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা কী? তাঁর এক্তিয়ার বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে নবান্ন৷ নয়া রুল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ ফলে, কমতে পারে রাজ্যপালের ক্ষমতা৷ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা নিয়ে তাঁর এক্তিয়ার কমিয়ে আনার পক্ষে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন৷
অন্যদিকে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে বেনজির ভাবে বিধানসভার মধ্যেই ধর্না তৃণমূল বিধায়কদের৷ মঙ্গলবার রাজ্যের শাসক দলের বিধায়করা বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির নিচে বিক্ষোভ দেখান৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধাসভার মধ্যেই শাসকদের বিক্ষোভের নজির বাংলার রাজনীতি আছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷
তৃণমূলের বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির কথায় বিধানসভায় বিলপাশ করাতে দিচ্ছেন না৷ চালকি করে রাজ্যের রাজ্যপাল তফশিলি বিলে স্বাক্ষক করছেন না৷ বিলটি আটকে থাকায় রাজ্যের তপশিলিদের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নির্মল৷ কেন রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর করছেন না? এর প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল বিধায়করা৷ একই সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে৷
কিন্তু, কেন রাজভবনে আটকে বিল? ভবনের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তফসিলি জাতি-উপজাতি কমিশন বিল ২০১৯, গত ২৯ নভেম্বর রাজভবনে জমা পড়ে৷ ৩ ডিসেম্বর অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরে সচিবকে চিঠি দিয়ে ওই বিষয়ে বিশদে জানতে চান রাজ্যপাল৷ ২৯ তারিখে নবান্নের তরফে বিলের খসড়া পেয়েই ৩ তারিখে ওই আধিকারিককে ডেকে পাঠান৷ ৩০ নভেম্বর ও পয়লা ডিসেম্বর দু’দিন শনি ও রবিবার পড়ে যাওয়ায় ৩ তারিখ সময় দেওয়া হয়েছিল৷ লিফট, এসকালেটর, ট্রাভেলটর বিষয়ক একটি বিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তাঁকে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানানো হয়৷