চেন্নাই: করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে গিয়ে প্রথম সারির যোদ্ধাদের মনোবল বাড়়ানোর চেষ্টা করলেন তামিলনাড়ুর সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন৷ রোগী, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়াতে পিপিই কিট পরে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকলেন তিনি৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমলেও, এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ এহেন পরিস্থিতিতে গত একবছর ধরে করোনা আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে থাকতে ক্লান্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই বাইরে থেকে নয়, সোমবার একেবারে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে এসে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন তামিলনাড়ুর সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন কোয়েম্বাটুর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে সরকারের বারণ উপেক্ষা করেই পিপিই কিট পরে কোভিড রোগীদের ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন। ঘরভর্তি করোনা রোগী পাশাপাশি বেডে শুয়ে আছেন৷ তাঁদের চিকিৎসা করছেন ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। হঠাৎ সেখানে পিপিই কিট পরিহিত মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে অবাক যান সকলে। স্ট্যালিন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন৷ এমনকি নিজেই হাসপাতাল পরিদর্শনের ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুধু ছবিই পোস্ট করেননি, তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আমাকে কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে যেতে বারণ করা হয়েছিল সরকারি তরফে। বারণ সত্ত্বেও হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড ঘুরে দেখলাম। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে করোনা যুদ্ধে লড়াই করে লড়েছেন, তাঁদের মনোবল বাড়াতেই ওখানে গিয়েছিলাম। সব সময় শুধু ওষুধেই কা়জ হয় না, তাঁদের মনোবল বাড়ানোরও প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সরকার যে তাঁদের পাশে আছে, সেই বার্তাই দিতে গিয়েছিলাম।’ তাঁর এই কাজকে অনেকেই কুর্নিশও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর জেলা কোয়েম্বাটুরই করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু কোয়েম্বাটুরেই গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩,৬০০ জন করোনার মারণ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন৷