কলকাতা: তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ‘মিশন ২৪’৷ সেই উদ্দেশে এবার ২১ জুলাই শুধু কলকাতায় নয়, পালিত হচ্ছে সারা দেশে৷ যোগী রাজ্যেও ২১ জুলাইয়ের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়৷ উত্তরপ্রদেশের ২২টি কমিশনারেটে তৃণমূল পার্টি অফিসকে ঢেলে সাজানো হয়েছে৷ বেশ কিছু জায়গায় লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন৷ যোগী রাজ্যে ‘খেলা’র জন্য প্রস্তুত তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- ‘নাগরিকত্ব’ নিয়ে আরও চাপে নিশীথ, রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে তৃণমূল
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, যে রাজ্যেই যাই না কেন, জিততে যাব৷ কিছু আসন পেতে নয়৷ এদিন সুখেন্দু শেখরের গলাতেও শোনা গেল সেই প্রতিধ্বনি৷ তিনি বলেন, অন্য রাজ্যে খেলা হলে, দেশেরই মঙ্গল৷ তাঁর কথায়, ২০২৪-এ ভাল ফল করতে গেলে ঘাঁটি গাড়তে হবে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে। প্রসঙ্গত, বাংলা ভোটের উত্তাপ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান৷ তবে এবার বাংলা ছাড়িয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও বিজেপি বিরোধী দলগুলির কণ্ঠেও শোনা যাচ্ছে এই স্লোগান৷
এদিন উত্তর প্রদেশে ২১ জুলাই পালনের পাশাপাশি আরও একটি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল৷ অক্সিজেন না পেয়ে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু থেকে হাথরাসের মতো ঘটনাকে সামনে রেখে বিকেল চারটেয় লখনউয়ের চৌরাহাটে মিছিল করবেন সে রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা। যা শহিদ দিবসকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে৷ পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তৃণমূলের যে বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে, তাতে আগামী দিনে আরও শক্তি বাড়িয়ে যোগী রাজ্যে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে জোর, ভোটযন্ত্র পরীক্ষা শেষ করার ‘ডেডলাইন’ জারি
বর্ষীয়ান সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের লক্ষ্য সংগঠন বিস্তার৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ শুরু করতে চলেছি। সে কারণেই উত্তরপ্রদেশে আসা৷