আরও নিবিড় সীমান্ত যোগাযোগ, ১৫ বছর পর সংযুক্ত হচ্ছে শ্রীনগর-লেহ

আরও নিবিড় সীমান্ত যোগাযোগ, ১৫ বছর পর সংযুক্ত হচ্ছে শ্রীনগর-লেহ

 শ্রীনগর:  ২০০৫ সালে প্রথম জোজিলা টানেল প্রজেক্ট শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু একাধিক কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে চারবার এই টানেলের কাজ শুরু হওয়া থমকে যায়। তবে অবশেষে, চলতি বছরে শুরু হচ্ছে জোজিলা টানেলের কাজ। এই টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে জম্মু কাশ্মীরে শ্রীনগর এবং লেহ। মূলত ভারতীয় সেনার পক্ষে এই টানেল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অবস্থানগত দিক থেকে এই টানেলের তাৎপর্য রয়েছে।

এদিন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির হাত ধরে জোজিলা টানেলের কাজের সূত্রপাত হয়। এই টানেলের কাজ সম্পূর্ণ হলে সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া আরো সহজ হয়ে যাবে ভারতীয় সেনার কাছে। আজ এই টানেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই টানেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সেনার কাছে। একইসঙ্গে বলা যায়, শ্রীনগর এবং লেহকে যুক্ত করার জন্য এই টানেল যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই টানেল নির্মাণ অত্যন্ত শক্ত কাজ। কবে এই জোজিলা টানেলের কাজ সম্পন্ন হলে শ্রীনগর এবং লেহ তো বটেই, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত হবে।

১৪.৫ কিলোমিটার লম্বা হবে এই জোজিলা টানেল। এর পাশে যে রাস্তা রয়েছে তা যাতায়াতের অযোগ্য। বছরে প্রায় ছ’মাস সেই রাস্তা বন্ধ থাকে। কারণ কার্গিল এবং দ্রাশ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যা স্বাভাবিক ভাবেই বিপদসংকুল। কিন্তু এই জোজিলা টানেল তৈরি হলে সারাবছর সেখান দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। তবে এই টানেলের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তাদের যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই টানেল।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এই টানেলের জন্য লেহ থেকে মানালির দূরত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে। যদিও অটল টানেল নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, কারণ ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেই টানেলে। সে ক্ষেত্রে জোজিলা টানেল তৈরি হওয়ার পরে যদি একই ঘটনা ঘটে তাহলে উৎকণ্ঠা বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *