নয়াদিল্লি: লাদাখে ইন্দো-চিন সংঘাত আবহে এবার সামরিক প্রস্তুতি শুরু করল ভারত৷ চিন যাতে হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে এবার নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে কেন্দ্র৷ ইন্দো-চীন সীমান্তে কড়া নজরদারি আরও বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর৷
ভারত-চিন সংঘাত আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিযুক্ত করা হয়েছে বিশেষ বিমান৷ এয়ারস্পেসের বিশেষ নজরদারি শুরু করতে চলেছে পিটিএইটআই বিমান৷ ডোকালামে ভারত-চিন সংঘাত আবহে এই নজরদারি বিমান মোতায়েন করা হয়েছিল৷ এবার লাদাখ সীমান্তে সেই একই বিমান নজরদারির কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
আকাশপথে পাশাপাশি এবার জলপথেও বাড়তে চলেছে নজরদারি৷ সমুদ্রের নিচে ডুবো জাহাজের খোঁজ শুরু হয়েছে৷ সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে থাকা ডুবোজাহাজ খুঁজতে সক্ষম বিমান মোতায়েন করা হচ্ছে৷ যাতে কোনোভাবেই চিন অতর্কিতে হামলা চালাতে না পারে৷ মূলত তা নিশ্চিত করতে এবার আকাশ ও জলপথে নজরদারি বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷
অন্যদিকে চিনের বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ ইতিমধ্যেই ৩৩টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে৷ সূত্রের খবর, চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আরও ৩৩টি যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ কেননা, চিনের তুলনায় শক্তির বিচারে বেশ খানিকটা পিছিয়ে ভারত৷ চিনের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে প্রয়োজন আরও কিছু যুদ্ধবিমান৷ বোমারু বিমানের ঘাটতি মেটাতে মিগ ২৯ এস ও সুখোইয়ের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ রাশিয়া থেকে ৩৩টি যুদ্ধবিমান কিনতে খরচ হবে অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকা৷ খবর সূত্রের৷
অন্যদিকে লাদাখ হামলায় চিনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে আমেরিকা৷ যখন বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব, তখন একাধিক ফ্রন্ট খুলছে চিন৷ দক্ষিণ চিন সাগর দেখলে এমন মনে হয়৷ এইসব এলাকায় চিনের আচারণ গঠনমূলক নয়৷ চীনকে দুষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন বিদেশমন্ত্রক৷