নয়াদিল্লি: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ গত বুধবার এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে৷ কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নাখুশ সমাজবাদী পর্টির একাধিক নেতা৷ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সপা’র দুই নেতা সাংসদ সৈয়দ তুফায়েল হাসান এবং সফিকুর রহমান বার্কের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়৷
আরও পড়ুন- উড়ান জগতের কিংবদন্তির হাতে দায়িত্ব সঁপলেন টাটা, শুরু ‘মহারাজা’র নতুন সফর
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার পরেই হাসানের দাবি, ‘‘মেয়েরা সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সে পৌঁছে গেলেই তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত৷’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘১৬ বছর বয়সেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়।’’ বড় হওয়ার পর মেয়েরা পর্নোগ্রাফি দেখে অনুশাসনহীন হয়ে পড়েন বলেও মত হাসানের৷ বিতর্কিত মন্তব্যে বিতর্ক উস্কে আরও এক সাংসদ সফিকুর বলেন, ভারতীয় অভিভাবকেরা অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতে চায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দ তুফায়েল হাসান বলেন, ‘‘মহিলারা সাধারণত ১৬-১৭ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সন্তান প্রজনন করেন৷ মেয়েরা ষোড়শী হলেই বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে৷ বিয়ের বয়স বেশি হলে দুটি সমস্যার সম্ভাবনা থাকে৷ প্রথমত, বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়ত, সন্তান নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া৷ এমনও হতে পারে আপনি জীবনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, অথচ আপনার সন্তান তখনও ছাত্রাবস্থায়! আমরা এভাবে প্রকৃতির নিয়মকে ভেঙে দিচ্ছি।’’
#WATCH | Girls should be married when they attain age of fertility. There is nothing wrong if a mature girl is married at 16. If she can vote at age of 18, why can’t she marry?: Samajwadi Party MP ST Hasan on Govt’s decision to raise legal age of marriage for women to 21 years pic.twitter.com/UZxHrMcjrh
— ANI (@ANI) December 17, 2021
হাসানের কথায়, ‘‘একজন মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সে পৌঁছলেই তাঁকে বিয়ে দেওয়া উচিত৷ ১৬ বছরে পরিপক্ক হলে ১৬ বছরেই বিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷ ১৮ বছরে ভোট দিতে পারলে বিয়ে করতে পারবে না কেন? সন্তান বড় হতেই অশ্লীল ভিডিয়ো দেখতে শুরু করে৷ এর ফলে শৃঙ্খলাহীনতা বাড়ে৷ অন্য দিকে সফিকুরের দাবি, ‘‘ভারতের মতো গরিব দেশে অনেকেই দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিতে চান। কেন্দ্র সংসদে মেয়ের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত বিল আনলে আমরা তার বিরোধিতা করব৷’’
এদিকে দুই সাংসদের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্ব৷ বিতর্ক এড়িয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, ‘‘ওঁরা যা বলেছে সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত মতামত৷ দলের মত নয়৷ এই ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই৷’’