মুম্বই: একজন অভিনেতা কতটা সফল, সেটা কী করে ঠিক হয়। ঠিক হয় অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে। তিনি চরিত্রের মধ্যে কতটা ঢুকতে পারছেন। ঠিক কতটা মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারছেন। আর মানুষ কতটা বড় সেটা বিচার হয় তাঁর মন দিয়ে। মনবিকতা দিয়ে। দুই দিক দিয়ে সমানভাবে সফল অভিনেতা সোনু সুদ। লকডাউনের জেরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে পেরেছিলেন। এবার কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকার সন্ধানে সোনু সুদ।
একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সোনু সুদ বলেন, প্রথমে মাত্র ৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে তিনি বাড়ি ফেরাতে পেরেছিলেন। সেই সময় লকডাউন চলছিল। আর বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনো যথেষ্ট চাপের ছিল। আস্তে আস্তে বিশাল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বাংলার শ্রমিকদেরও পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৫০০০ হাজার বাংলার শ্রমিককে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দুটো ট্রেনে ও ৪০ থেকে ৪২টা বাসে তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের তিনি পাঠিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''এই সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল ভরসার। এটা বোঝানো জরুরি ছিল যে, ওঁদের সাহায্যের জন্য কেউ রয়েছে, কেউ ওঁদের কথা ভাবছে। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে সাহায্য করছেন। আমি পথে নেমে সাহায্য করার পদ্ধতি বেছে নিয়েছি।'' তাঁর স্বেচ্ছাসেবীর দল, পরিবার পাশে না থাকলে যে তিনি একেবারেই এই বিশাল কাজটা করতে পারতেন না, তা তিনি জানিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ভগবান হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ । ভরসার নাম সোনু সুদ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু পেটের দায়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে চলেছেন। কিন্তু করোনা আবহে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করছেন সোনু সুদ। সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, করোনার জেরে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই কিছু একটা করতে পারব। সেখানে অনেক মানুষের কাজ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।