সন্তানের শিক্ষায় গরু বেচে স্মার্টফোন কেনা কুলদীপকে সাহায্য সোনুর

সন্তানের শিক্ষায় গরু বেচে স্মার্টফোন কেনা কুলদীপকে সাহায্য সোনুর

 

শিমলা: সম্বল বলতে ছিল একমাত্র ওই গরুটাই৷ দুধ বেচেই চলত তাঁদের সংসার৷ কিন্তু দুই সন্তানের পড়াশোনার জন্য শেষ সম্বলটুকুও বেচে দেন তিনি৷ গরু বিক্রির টাকা দিয়েই সন্তানদের অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন কেনেন হিমাচলপ্রদেশের  জ্বালামুখীর গুমার গ্রামের বাসিন্দা কুলদীপ কুমার৷ এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বলিউড তারকা সোনু সুদ৷  

আরও পড়ুন- কাশ্মীর থেকে দিল্লি, প্রতিদিন ১০০০ কিমি উড়ে শিশুর কাছে আসে মায়ের দুধ

এর আগে লকডাউনে সমস্যায় পড়া হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু৷ মাসিহার মতো তাঁদের সমস্যা মিটিয়েছেন৷ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁদের নিজেদের বাড়িতে৷ সন্তানদের জন্য কুলদীপের এই ত্যাগের খবর কাগজে দেখার পরই তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিনেতা৷ কুলদীপকে তাঁর গরু ফিরিয়ে দেবেন বলেও জানান৷ টুইট করে কুলদীপের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাও জানতে চান তিনি৷ সোনু টুইটে লেখেন, ‘‘তাঁকে তাঁর গরু ফিরিয়ে দিতে হবে৷ কেউ কি দয়া করে তাঁর সম্পর্কে বিশদে জানাতে পারবেন৷’’ সোনুর টুইট দেখার পরই তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা৷ কুলদীপের খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর সোনু ছাড়াও তাঁর সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আরও অনেকেই৷ 

আরও পড়ুন: ৫০ হাজার বেকার যুবক-যুবতীকে বিনামূল্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য

করোনা আবহে লকডাউনের জেরে গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷  শিক্ষার আঙিনা হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন৷ হাতে স্মার্টফোন না থাকলে বঞ্চিত হতে হবে শিক্ষার অধিকার থেকে৷ স্মার্টফোন না থাকায় ক্রমাগত লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছিল কুলদীপ কুমারের দুই সন্তানও৷ স্মার্টফোন কেনার সাধ্য ছিল না তাঁর৷ তাই অগত্যা জীবনের একমাত্র সম্বল গরুটাকেই বেচে দেন কুলদীপ৷  

আরও পড়ুন- কীভাবে পালিত হবে এবারের স্বাধীনতা দিবস? নির্দেশিকা জারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

গরুর দুধ বিক্রি করেই দু’বেলা অন্ন জুটত কুলদীপের পরিবারের৷ কিন্তু ফোন না হলে অশিক্ষার অন্ধকার ডুবে যেতে বসেছিল তাঁর সন্তানরা৷ কুলদীপের দুই সন্তান অন্নু এবং দিপ্পু৷ অন্নু পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে আর দিপ্পু দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া৷ এখন অনলাইন পড়াশোনা শুরু হওয়ায় স্কুল থেকে বারবার কুলদীপকে স্মার্টফোন কিনতে বলা হয়। কুলদীপ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, স্মার্টফোন কেনার মতো সাধ্যি নেই তাঁর৷ পকেটে ৫০০ টাকাও নেই। কিন্তু স্মার্টফোন ছাড়া দুই সন্তান অনলাইন ক্লাস করবেই বা কী করে! ঋণের আবেদন করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু লাভ হয়নি। কেউ সাহায্যও করেনি৷ টাকা জোগাড় করার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়৷ তাই শেষমেষ মাত্র ৬ হাজার টাকায় গরুটিকে বিক্রি করে স্মার্টফোন কেনেন কুলদীপ কুমার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 4 =