নয়াদিল্লি: আঞ্চলিক দলগুলির হাতেই থাকছে সরকার গঠনের চাবিকাঠি। বিজেপি বিরোধী দলগুলি এই সম্ভাবনাই ধরে নিয়েছে। আর তাই লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। প্রকৃত ফলপ্রকাশ হবে ২৩ মে। প্রকাশিত হয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা। গোটা দেশের চোখ ছিল এক্সিট পোলের দিকে। রাজনৈতিক মহলও ফলপ্রকাশের আঁচ পেতে সেদিকেই মনোনিবেশ করলেও পাশাপাশি আসন্ন সরকার গঠনের প্রস্তুতি ও সব সম্ভাবনার কথা ভেবে সমীকরণ বদল নিয়েও সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে দিনভর।
বিজেপি বিরোধী জোটে সবথেকে উদ্যোগী অন্ধ্রপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তেলুগু দেশম সুপ্রিমো রাহুল গান্ধী ও অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর চলে গিয়েছিলেন লখনউ। মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের মন বুঝতে। উত্তরপ্রদেশের ওই দুই নেতানেত্রীর জোট এবার দিল্লির সরকার গঠনের অনতম প্রধান ফ্যাক্টর। কারণ উত্তরপ্রদেশে যদি বিজেপি ফল আশানুরূপ করতে না পারে তাহলে দিল্লির সরকার গড়াও দূরঅস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিশেষ করে মায়াবতী এখনও পর্যন্ত তাঁর ভোট পরবর্তী অবস্থান কী হবে সেটা স্পষ্ট করেননি। তবে আগামীকাল দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। সোনিয়া ও মায়াবতীর ওই বৈঠকের দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন সোনিয়া গান্ধী।