নয়াদিল্লি: উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ রবিবারই সম্ভবত পদত্যাগ করতে চলেছেন সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ একদিকে, কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়বেন সোনিয়া৷ অন্যদিকে, ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সরে দাঁড়াবেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
আরও পড়ুন- পঞ্জাব দখলের পর লক্ষ্য গুজরাত, মোদী গড়ে ঝাড়ু ঝড় তুলতে মরিয়া কেজরি
উত্তর প্রদেশে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ কংগ্রেস৷ যোগীগড়ে মাথা তুলতেই পারেনি হাত শিবির৷ পাশাপাশি পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরেও ধরাশায়ী কংগ্রেস৷ পাঁচ রাজ্যে পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়েই সরে দাঁড়াতে চাইছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য৷ এই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে৷
তবে এর আগেও কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী৷ ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পদ্মের দাপটে কংগ্রেস নাস্তানাবুদ হওয়ার পরেও সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাঁদের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়নি৷ তবে আপাতত কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছে হাইকম্যান্ড। তদন্তের ভার মূলত দেওয়া হয়েছে দলের বর্ষীয়ান নেতা একে অ্যান্টনির উপর। চরম হতাশাজনক ফলাফলের কারণ খুঁজে বার করতে তাঁর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলের ঝুলিতে পঞ্চাশের কাছাকাছি আসন। পঞ্জাব থেকে শুধু ক্ষমতাচ্যুতই হতে হয়নি, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্নও ধূলিস্মাৎ৷ এই অবস্থায় ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল নয়, বরং কংগ্রেসের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এরই মধ্যে কংগ্রেসের কাছে সব থেকে বড় ধাক্কা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যর্থতা। পরপর দু’টি লোকসভা ও একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন ‘ব্র্যান্ড’ রাহুল গান্ধী৷ তার বদলে কংগ্রেস চেয়েছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ‘মুখ’ করে তুলতে। কিন্তু খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলতে ব্যর্থ প্রিয়াঙ্কাও৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা টুইট করে বলেছিলেন, ”আমরা আমাদের পরিশ্রমকে ভোটে রূপান্তর করতে ব্যর্থ।” পরাজয় স্বীকার করে রাহুল লিখেছিলেন, ”জনগণের রায় বিনীতভাবে মেনে নিচ্ছি৷ আমরা এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাব৷” তবে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি পাল্টা বলেন, ”পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি শেষ।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>