নয়াদিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে আরো বেশি শক্তিশালী হতে হবে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর প্রথমবার দিল্লি গিয়ে একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই যেন বিরোধী দলগুলির এককাট্টা হওয়ার যাত্রা আবার শুরু হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে। এবার বিরোধী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
জানা গিয়েছে, আগামী ২০ অগাস্ট ভার্চুয়ালি এক আলোচনার আয়োজন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে। একই সঙ্গে আমন্ত্রিত হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, এইভাবে আস্তে আস্তে বিরোধী দলগুলির অবস্থান কোন জায়গায় রয়েছে তা মেপে নিতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী, পরবর্তী ক্ষেত্রে হয়তো আরো বড় মাপের বৈঠক বা আয়োজন করতে পারে কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে একুশে জুলাই পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিরোধীদের একাধিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের বাড়িতেও এক নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলের একাধিক প্রতিনিধি। সব মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা ফের একবার জোরকদমে মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি কেন? অবশেষে জবাব কেন্দ্রের
বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে আরো একবার তা বলাই বাহুল্য। কারণ কার্যত সবথেকে কঠিন নির্বাচন জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই তার দল বার্তা দিচ্ছে যে বিজেপিকে হারাতে গেলে বিরোধীদের একজোট হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এখন উত্তর-পূর্ব সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে নিশানা করছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় কী চলছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে আবার গতকাল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।