নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী একটি জোট গড়তে জাতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পৌরহিত্যে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা আজ একটি বৈঠকে মিলিত হন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি, সিপিএম, ন্যাশনাল কনফারেন্স সহ মোট ১৬ টি দলের প্রতিনিধিরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। পেগাসাস, করোনা ভাইরাস, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সহ মনিপুর, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ডে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নতুন কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি কেন? অবশেষে জবাব কেন্দ্রের
ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে আরো বেশি শক্তিশালী হতে হবে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর প্রথমবার দিল্লি গিয়ে একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই যেন বিরোধী দলগুলির এককাট্টা হওয়ার যাত্রা আবার শুরু হয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে। সেই প্রেক্ষিতে আজকেই বিরোধীদের এই বৈঠক অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, এইভাবে আস্তে আস্তে বিরোধী দলগুলির অবস্থান কোন জায়গায় রয়েছে তা মেপে নিতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী, পরবর্তী ক্ষেত্রে হয়তো আরো বড় মাপের বৈঠক বা আয়োজন করতে পারে কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে একুশে জুলাই পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিরোধীদের একাধিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের বাড়িতেও এক নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলের একাধিক প্রতিনিধি। সব মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা ফের একবার জোরকদমে মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে আরো একবার তা বলাই বাহুল্য। কারণ কার্যত সবথেকে কঠিন নির্বাচন জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই তার দল বার্তা দিচ্ছে যে বিজেপিকে হারাতে গেলে বিরোধীদের একজোট হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এখন উত্তর-পূর্ব সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে নিশানা করছে তৃণমূল।