নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অসমের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে ব্যাপক আশাহত কংগ্রেস শিবির। এর পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির ফলাফলও। এর মধ্যে একটিতেও জেতা তো দূর, পশ্চিমবঙ্গে একটি আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস। সামগ্রিকভাবে প্রত্যেক রাজ্যেই হেরেছে তারা। দলের এই ফলাফল নিয়ে একেবারেই খুশি নয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কেন এমন অবস্থা হল কংগ্রেসের তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পর্যালোচনা শুরু করে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিতে আসন পেলেও জয়ের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি তারা। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস শিবির শূন্য হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। সিপিএমের সঙ্গে জোট পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আইএসএফের সঙ্গে জোট কাল হয়েছে কংগ্রেসের। অন্যদিকে কেরলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে এক সঙ্গে লড়াই করছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম, সেটাও সর্মথকরা ভালো চোখে দেখেননি বলেই অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। দলের নেতৃত্বে দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই কার্যত প্রত্যেকটি রাজ্যের ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে ব্যাপক অসন্তুষ্ট কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। জানা গিয়েছে তিনি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলেছেন, দলের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গিয়েছে আর প্রত্যেকটি রাজ্যের কংগ্রেস যা ফল করেছে সেটা চূড়ান্ত হতাশাজনক এবং অপ্রত্যাশিত। আগামী দিনে এই ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় সিপিএম এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করে একটাও আসন পেতে পারেনি কংগ্রেস। ওদিকে, কেরলে কংগ্রেস পেয়েছে ২১ আসন। অসমে পেয়েছে মাত্র ২৯টি আসন। তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের হাতে এসেছে ১৮ আসন, এবং পুদুচেরিতে এসেছে মাত্র ২ টি আসন। ফল নিয়ে পর্যালোতনা করতে খুব শীঘ্রই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।