নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয়বারের জন্য ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। প্রসঙ্গত গতকাল অর্থাৎ সোমবারই সোনিয়া গান্ধীর ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। তাই একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার ইডির দপ্তরে হাজিরার আর্জি জানিয়েছিলেন। এদিন সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ইডি দপ্তরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। এর আগে ২১ জুলাই দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে প্রথমবার হাজিরা দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী।
অন্যদিকে এদিনও সোনিয়া গান্ধীর হাজিরাকে কেন্দ্র করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকালেই কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অল ইন্ডিয়া মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা সোনিয়াকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে প্লাকার্ড এবং কালো বেলুন নিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। এরপর সোনিয়া গান্ধী দপ্তরে হাজিরা দিলে আরো তীব্র হয় কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ। জাতীয় কংগ্রেসের সদর দপ্তরের পাশাপাশি সংসদ ভবনেও গান্ধী মূর্তি থেকে বিজয় চকের দিকে প্রতিবাদ মিছিল করেন কংগ্রেস সাংসদরা। এই প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা এলাকা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি এবং শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ একাধিক শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে দ্বিতীয় দিনে মোট তিন রাউন্ডে সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি আধিকারিকরা। ন্যাশনাল হেরান্ড মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে সোনিয়া গান্ধীর এই ইডি দপ্তরে হাজিরা। এর আগে এই একই কারণে সোনিয়াপুত্র তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও একাধিকবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁকে এখনো পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন জেরা করেছেন আধিকারিকরা। ৫০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ।