সংসদে প্রকাশ্যে স্মৃতির সঙ্গে বাদানুবাদ, সোনিয়া বললেন ‘ডোন্ট টক টু মি’

সংসদে প্রকাশ্যে স্মৃতির সঙ্গে বাদানুবাদ, সোনিয়া বললেন ‘ডোন্ট টক টু মি’

নয়াদিল্লি: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কার্যত তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে ব্যাপক বাদানুবাদে জড়িয়েছেন কংগ্রেস এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনসহ অনেকে। এই সময় সামনে আসছে আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এদিন সংসদ ভবনে প্রকাশ্য বাগানুবাদে জড়িয়ে ছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধী বিরক্ত হয়ে স্মৃতি ইরানিকে বলেন, ‘ডোন্ট টক টু মি’, যার অর্থ ‘আমার সাথে কথা বলবেন না’।

সূত্রের খবর, এদিন সংসদ ভবনে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্যকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্মৃতি ইরানি একের পর এক তোপ দাগেন সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লোকসভার সংসদ হয়েছেন। আর তারাই ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করছেন। আর তাই শুধুমাত্র অধীর রঞ্জন চৌধুরী নয়, ক্ষমা চাইতে হবে সোনিয়া গান্ধীকেও। কারণ তিনি কংগ্রেস দল এবং দলের সদস্যদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ বলাই বাহুল্য, স্মৃতি ইরানির এহেন মন্তব্যে ব্যাপক বিরক্ত হন সোনিয়া গান্ধী। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন। এরপরেই দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয় বলে খবর।

এদিকে ব্যাপক গণ্ডগোলের মধ্যেই বেলা বারোটার সময় লোকসভার অধিবেশন মুনতুবি হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও বিজেপি সাংসদরা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সর্বোপরি সোনিয়া গান্ধীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এর মধ্যেই সোনিয়া গান্ধী যখন সংসদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন জানা যায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন। এরপরেই স্মৃতি ইরানি সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান। আর তখনই সোনিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে চিৎকার করে বলেন, ‘ডোন্ট টক টু মি।’ সূত্রের খবর এরপরেও দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা কাটাকাটি চলে। শেষে দু পক্ষের সাংসদরাই এগিয়ে এসে সোনিয়া গান্ধী এবং স্মৃতি ইরানিকে আলাদা করে নেন।