‘কেউ একজন মিথ্যে বলছেন’, নাম না করে মোদিকে বিঁধলেন রাহুল

‘কেউ একজন মিথ্যে বলছেন’, নাম না করে মোদিকে বিঁধলেন রাহুল

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাদাখ সফরের দিনই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ শুক্রবার লাদাখবাসীদের একটি ভিডিয়ো নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন রাহুল৷ চিনের লাল ফৌজ লাদাখের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে বলে ওই ভিডিয়োতে অভিযোগ করেন স্থানীয় কিছু মানুষ৷ 

ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করেই রাহুল টুইটারে লেখেন, ‘‘লাদাখবাসী বলছে চিন তাঁদের জমি দখল নিয়েছে৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কেউ ভারতের ভূখণ্ড দখল করেনি৷’’ এর পরেই মোদিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘এর থেকে এটা তো নিশ্চিত, কেউ তো একজন মিথ্যে বলছেনই৷’’  

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জওয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠকের পরও জট কাটেনি৷ এই উত্তেজনার মাঝেই এদিন লাদাখের লেহ সেনাঘাঁটিতে পৌঁছন নমো৷ এরই মধ্যে লাদাখের ভিডিয়ো প্রকাশ করে নাম না করেই নমোকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী৷ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে লাদাখের বেশ কিছু অংশ চিনের হাতে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ 

ওই ভিডিয়োয় লাদাখের একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে চিনা আগ্রাসন৷ অবৈধভাবে লাদাখের একাধিক জায়গা দখল নিয়েছে চিন সেনা৷ যদিও ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশের কথা বারবার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকার৷ 

তবে চিন ইস্যুতে এই প্রথম নয়৷ এর আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসর প্রাক্তন সভাপতি৷ গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রীর নিরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ এদিন যখন সেনাদের মনোবল বাড়াতে লাদাখে রয়েছে প্রধামন্ত্রী, তখন আরও একবার তুলোধোনা করলেন তিনি৷  

এদিন লাদাখে ১৪ কোর বাহিনীর সামনে ভাষণ দেন নমো৷ গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে আহত ৭০ জনেরও বেশি জওয়ানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷ খতিয়ে দেখেন সীমান্ত পরিস্থিতি৷ এছাড়াও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন কুমার রাওয়াত, নর্দান আর্ম কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াইকে জোশী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং এবং ১৪ কোর কমান্ডার বাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *