নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাস কমবেশি প্রায় আমাদের সকলেরই জানা৷ ১৯২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পূর্ণ স্বরাজের দাবি তুলেছিল কংগ্রেস৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি গৃহীত হয় ভারতীয় সংবিধান৷ কিন্কু এর বাইরেও ২৬ জানুয়ারির বহুবিধ গুরুত্ব রয়েছে৷ যা সাধারণ মানুষের কাছে অজানা৷ দেখে নেওয়া যাক প্রজাতন্ত্র দিবসের সেই অজানা তথ্যগুলি৷
আরও পড়ুন- ‘২৪-এর লোকসভায় BJP-কে হারানো সম্ভব, তবে….’’, কোন ইঙ্গিত দিলেন ভোটকুশলী পিকে
১। ভারতের সংবিধান পৃথিবীর দীর্ঘতম হাতে লেখা সংবিধান।
২। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর অনুরোধে প্রখ্যাত ক্যালিগ্রাফিস্ট প্রেম বিহারী নারায়ণ রায়জাদা দীর্ঘ ছয় মাসের প্রচেষ্টায় এই বিপুল কর্মযজ্ঞ একা হাতে সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য, এই কাজের জন্য তিনি এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি৷
৩। শুধু লেখাই নয়, সংবিধানের পরতে পরতে রয়েছে অসংখ্য নকশা। সেই নকশা করেছেন নন্দলাল বসু ও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। রয়েছে বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতের ছবি৷ পাশাপাশি ফুটে উঠেছে মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযান ও সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবিও। টিপু সুলতান ও অশোকের ছবির মধ্যে দিয়ে রাখা হয়েছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা।
৪। আকর গ্রন্থটিতে রয়েছে ২৫১ পৃষ্ঠা৷ ওজন তিন কিলো ৭৫০ গ্রাম।
৫। সংবিধানের প্রথম প্রতিলিপি ছিল দুটি ভাষায়, একটি হিন্দি ও অপরটি ইংরেজিতে লেখা।
৬। হাতে লেখা সংবিধানের প্রথম প্রতিলিপি দুটি সংসদ ভবনে হিলিয়াম পূর্ণ বদ্ধ পাত্রে সংরক্ষিত রয়েছে ।
৭। ৩০৮ জন সদস্য ২৪শে জানুয়ারি সংবিধানে সই করেছিলেন।
৮। প্রতি বছর কোনও একজন রাষ্ট্র নায়ক, সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আসেন। ১৯৫০ সালে প্রথমবার এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ।
৯। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া ট্যাবলোগুলির গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
১০। রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। তার আগে পর্যন্ত এই রাস্তার নাম ছিল কিংসওয়ে। পরে নাম পরিবর্তন করে করা হয় রাজপথ।