নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থেকে শুরু করে দেশের বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ইস্যুর সমালোচনা করে কংগ্রেসের তরফে বলা হয় যে দেশে গণতন্ত্র নেই। এমনকি জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে জম্মু-কাশ্মীরে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এদিন নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মন্তব্য করলেন, দিল্লিতে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা প্রত্যেক দিন তাঁকে গণতন্ত্র নিয়ে শিক্ষা দিতে চায়। পরোক্ষে যে তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন তা বলাই বাহুল্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, এত কম সময়ের মধ্যেও জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নিয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবার পরের নির্বাচনের এই ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে পুদুচেরি তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন হয় না, সেখানে যারা ক্ষমতায় আছে তারা তাকে গণতন্ত্রের পাঠ পড়াতে চায় বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি যে পরোক্ষভাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছেনসে বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয় কারণ, কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধী স্পষ্ট দাবি করেছিলেন যে দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। মোদী বলেন, যাদের জন্য কাজ করা হয় তারা যখন প্রশংসা করে তখন সেটা তার জন্য আশীর্বাদের মত। এক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, তারা জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ছিলেন কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তার কারণ, তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন চেয়ে ছিলেন যেখানে ভূস্বর্গের সাধারণ নাগরিককে তাদের অধিকার দেওয়া সম্ভব হয় নির্দিষ্ট জনপ্রতিনিধি দ্বারা। এখন যখন সেখানে নির্বাচন হয়েছে তখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় থাকা সত্ত্বেও মানুষ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ভোট প্রদান করেছেন। মহাত্মা গান্ধীর স্বরাজ এর পরিকল্পনা আবারও তুলে ধরেছে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, এমনটাই দাবি করেন মোদী।