নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেনকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার আরও ছয়জন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তবে এই ছয়জনকে শুধু মাত্র এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই একাধিক প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এই সাংসদরা। চেয়ারম্যান বারবার তাঁদের অনুরোধ করে নিজের জায়গায় গিয়ে বসার জন্য কিন্তু তারা শোনেননি। ক্রমাগত চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করার ফলেই তাদের এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ছয় জন সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম বেনজির নূর। এনাদের সকলকে আজকের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে তারা সংসদে আসতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে যে, আজ দুপুরের পর থেকে বেশ কয়েকটি বিল পাস করার অভিসন্ধি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এবং সেই কারণেই তাদের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ বিগত কয়েক দিন ধরেই এই বিল পাস এবং পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদের সাসপেন্ড করে দিয়ে আখেরে নিজেদের কাজ হাসিল করতে চায় তারা।
আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের
সংসদে যে ভাবে বিল পাশ করা হচ্ছে তাতে তোপ দেগে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘সংসদে আইন পাশ হচ্ছে, নাকি পাপড়ি চাট বানানো হচ্ছে!’ তাঁর এই মন্তব্য শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ অধিবেশনের সময়ে সকল সাংসদদের সংযম রাখার কথাও বলেন তিনি৷ মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ বিজেপির সংসদীয় কমিটির অন্যান্য শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই ডেরেকের মন্তব্য নিয়ে সরব হন নমো। তৃণমূল সাংসদের এই আচরণ ‘সংসদের জন্য অপমানজনক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগেই পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিবৃতি দেওয়ার সময় তাঁর হাত থেকে বিবৃতিপত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শান্তনু৷ এর পর সেটি ছিঁড়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরেই তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷