নয়াদিল্লি: শুধু চিকিৎসক বা নার্স নয়, করোনার বিরুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে লড়াই করছেন আশাকর্মীরা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পরিশ্রম আগের থেকে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিশ্রম বাড়লেও মিলছে না সম্পূর্ণ বেতন। বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া ও নিয়মিত বেতনের দাবিতে এবার দুই দিনের ধর্মঘট ডাকলেন ৬ লক্ষ আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
আরও পড়ুন- প্রবল বৃষ্টিতে টানা ৫ ঘণ্টা খোলা ম্যানহোল পাহারা দিলেন মহিলা (ভিডিয়ো)
বিহার থেকে মহারাষ্ট্র, কিংবা পঞ্জাবে আশাকর্মীরা ধর্মঘটে বসেছেন৷ বিহারের বেগুসরাইয়ে বেশ কয়েকজন আশাকর্মী ধরনায় বসেছেন। বুধবার থেকে বিহারের প্রায় ৯০ হাজার আশাকর্মী ধর্মঘট করছেন৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম সরিতা রাই৷ তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা আক্রান্তের নাম নথিভুক্ত করেছি৷ এমনকী, যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছিলেন, তাঁদেরও স্ক্রিনিং করিয়েছি আমরা৷ কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া হয়নি৷ তিনি মন্তব্য করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কর্মরত ২ জনের করোনা ধরা পড়েছে৷ আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েছেন ধরনায় বসতে৷
আরও পড়ুন- সুখবর! মাত্র ২২৫ টাকায় মিলবে করোনা-টিকা, ভারতে ১০ কোটি ভ্যাকসিন পাঠাবে অক্সফোর্ড
আশাকর্মীরা মাস গেলে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান৷ তাঁদের অভিযোগ, সেই টাকাও সম্পূর্ণ তাঁরা গত কয়েকমাস ধরে পাচ্ছেন না৷ তাঁদেরও পরিবার আছে৷ তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্যদের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যাবে৷ তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে গেলেও অনেক সময় তাঁদের তাড়া করা হয়েছে৷ নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁরা কাজ করেন৷ কিন্তু তাঁদের দিকে নূন্যতম নজর সরকারের তরফে দেওয়া হয় না৷ হেলথ ইক্যুইটি অ্যান্ড সোসাইটি’-র অধিকর্তা মীরা শিবা বলেন, আশাকর্মীদের সম্মান ও প্রাপ্য দেওয়া হলে তাঁরা আর এই ধর্মঘটে যেত না৷